শনিবার সকালে পদ্মাপাড়ের এই ঘাটে গিয়ে দেখা গেছে, মেঘলা আকাশে হালকা বাতাসের মধ্যে চাঞ্চল্য ফিরেছে লঞ্চ, স্পিডবোট ও ফেরিতে।
স্পিডবোটে যাত্রীদের ভিড় দেখা গেছে বেশি। পদ্মা উত্তাল থাকলেও স্পিডবোটগুলোয় লাইফ জ্যাকেট থাকায় যাত্রীরা স্বচ্ছন্দ গতিতেই পদ্মা পার হচ্ছেন। তবে স্পিডবোটে ভাড়া বেশি নেওয়ার অভিযোগ করেছেন অনেকে।
পদ্মা পার হতে কোনো ঝামেল হচ্ছে কিনা জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, “বাড়ি থেকে খুব ভোরে রওনা দিয়েছি, যাতে ভিড় বাড়ার আগেই পদ্মা পার হতে পারি। কিন্তু ঘাটে এসে দেখি প্রচণ্ড ভিড়।”
বরিশাল থেকে আসা পাভেল হাসান বলেন, “বাড়ি আসলে আর ঢাকায় যেতে মন চায় না। জীবিকার তাগিদে ইচ্ছে থাকলেও বাড়িতে থাকা হয় না বেশি দিন।”
স্পিডবোটের বাড়তি ভাড়া নেওয়ার অভিযোগ করে তিনি বলেন, “স্পিডবোট ২০০ টাকা করে ভাড়া নিচ্ছে। অথচ আগে ছিল দেড় শত টাকা। তবে মূল ভাড়া হচ্ছে ১৩০ টাকা। সারা বছরই ভাড়া বেশি নেয়। আর ঈদ আসলে আরও বেশি।”
শৃঙ্খলা বজায় রাখতে স্পিডবোট ঘাটে পুলিশ সার্বক্ষণিকভাবে তদারক করছে বলে তিনি জানান।
নদী শান্ত থাকায় লঞ্চ ও স্পিডবোটে যাত্রীদের ভিড় সকাল থেকেই বেশি জানিয়ে তিনি বলেন, সব নৌযান চলাচল স্বাভাবিক থাকায় যাত্রীরা স্বাচ্ছন্দে পার হতে পারছেন।
কাঁঠালবাড়ি-শিমুলিয়া নৌপথে এখন ৮৭টি লঞ্চ, ১৭টি ফেরি ও দুই শতাধিক স্পিডবোট চলছে বলে বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।