গাজীপুরের বাসায় ‘বিস্ফোরণ’, দগ্ধ ৪

গাজীপুর শহরের সালনা এলাকায় বাসায় ‘বিস্ফোরণের’ পর আগুনে চারজন দগ্ধ হয়েছেন।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া জানান, দগ্ধদের মধ্যে তিনজনকে শনিবার সকালে এই হাসপাতালে  ভর্তি করা হয়।

তারা হলেন মো. ইয়াকুব আলী মণ্ডল (৬০), তার স্ত্রী আকলিমা (৫০) ও আকলিমার বাবা নূর মোহাম্মদ (৮০)।

পরিদর্শক বাচ্চু চিকিৎসকের বরাতে বলেন, “ইয়াকুব আলীর শরীরের শতভাগ, আকলিমার প্রায় ৯৫ শতাংশ এবং  নুর মেহাম্মদের শরীরের ২৫ শতাংশ পুড়ে গেছে।”

এছাড়া ইয়াকুবের ছেলে স্বপনকে (২২) গাজীপুরের একটি হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়।

গাজীপুর সিটি পুলিশের উপ-কমিশনার মো. শরিফুর রহমান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বলেন, ওই বাড়ির রান্নাঘর অক্ষত রয়েছে।

“প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, গ্যাসের চুলা থেকে ঘরে জমে থাকা গ্যাসে বৈদ্যুতি শর্টসর্কিটের পর ওই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। তবে ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা তদন্তের পর অগ্নিকাণ্ডের প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে।”

গাজীপুর ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাকারিয়া বলেন, ওই বাড়ির রান্নাঘরের পেছনে তিতাস গ্যাসের সরবরাহ লাইনে ছিদ্র ছিল। সেখান দিয়ে গ্যাস  ঘরে জমেছিল। তাতে দেয়াশলাই বা বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিটের ফলে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে থাকতে পারে।

স্থানীয় কাথোরা দাখিল মাদ্রাসার সুপার মো. ওয়াদুদ জানান, একতলা বাড়ির একটি ঘরে ইয়াকুব ও তার স্ত্রী এবং পাশের ঘরে তাদের ছেলে স্বপন ও স্বপনের নানা ঘুমিয়ে ছিলেন।

তিনি বরেন, “শনিবার ভোর পৌনে ৫টার দিকে বিকট শব্দে কক্ষের দরজা-জানালা ভেঙ্গে যায় এবং অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। পরে এলাকাবাসী গিয়ে আগুন নিভিয়ে দ্বগ্ধ তিনজনকে ঢাকা মেডিকেলে পাঠায়। সামান্য আহত স্বপনকে স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়। আগুনে ঘরের খাট, বিছানা-পত্র, কাপড়-চোপড়সহ বিভিন্ন মালপত্র পুড়ে গেছে।”

তবে তিনি ওই শব্দ বা আগুন লাগার কারণ বলতে পারেননি।