তবে মেয়ের দাবি, কাজ করার সময় টাইলসের আঘাতে তার বাবা মারা গেছেন।
সদর থানার ওসি আবির মোহাম্মাদ হোসেন জানান, এলাকাবাসীর কাছে অভিযোগ পেয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে।
নিহত মো. শহীদ খান সদর উপজেলার বুড়িরচর এলাকার বাসিন্দা ছিলেন।
শহীদের স্ত্রী রুবী বেগম বলেন, ঢাকার আশুলিয়ার ইউসুফ মার্কেট এলাকায় হানিফ মিয়ার ভাড়া বাসায় থাকেন তারা। শহীদ সেখানে দিনমজুরের কাজ করতেন।
“বুধবার রাতে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বাবা-মেয়ের ঝগড়া হয়। একপর্যায়ে মেয়ে ধারালো বঁটি দিয়ে বাবার মাথায় কোপ দেয়। চিকিৎসা না হওয়ায় অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে মারা যান শহীদ। ঘটনা ধামাচাপা দিয়ে বাড়ির মালিক হানিফ মিয়া অ্যাম্বুলেন্সে করে বরগুনা পাঠিয়ে দেন।”
গ্রামের স্বজনরা শহীদের মাথায় কোপের চিহ্ন দেখে শহীদের স্ত্রী রুবী, মেয়ে ও মহিউদ্দিন নামে এক ব্যক্তিকে আটক করে পুলিশে দেয়।
ওসি আবির বলেন, “শহিদের মাথায় কাটা দাগ রয়েছে।”
পুলিশ তিনজনকে আটক করলেও রুবীকে ছেড়ে দিয়ে মেয়ে ও মহিউদ্দিনকে জিজ্ঞাসাবাদের আটকে রেখেছে বলে জানান ওসি আবির।
তবে শহিদের মেয়ে বাবাকে কোপানের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
তিনি বলেন, “নির্মাণাধীন ভবনে টাইলসের কাজ করার সময় বাবা আহত হন। বাবার মাথায় টাইলস পড়ে আঘাত লেগেছে।”
পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্ত শেষে ফেরত দিয়েছে। শুক্রবার বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে বুড়িরচর গ্রামে দাফন করা হয়েছে।