ওই ছাত্রী এখন ছয় মাসের অন্তঃসত্ত্বা বলে পুলিশ জানিয়েছে।
শহরের সোনাডাঙ্গা থানার ওসি মো. মমতাজুল হক বলেন, গ্রেপ্তার শিঞ্জন রায় খুলনার কর কমিশনার প্রশান্ত কুমার রায়ের ছেলে। ওই ছাত্রী ও শিঞ্জন উভয়ই খুলনার নর্থ ওয়েস্টার্ন ইউনিভার্সিটির আইন বিভাগের শিক্ষার্থী। তাদের মধ্যে এক বছর আগে সম্পর্ক হয়।
ওসি মমতাজুল প্রাথমিক তদন্তের তথ্য দিয়ে বলেন, “বিয়ের প্রলোভন দিয়ে শিঞ্জন তাকে বাসাসহ বিভিন্ন স্থানে নিয়ে ধর্ষণ করেন। ওই ছাত্রী এখন ছয় মাসের অন্তঃসত্ত্বা। সম্প্রতি শিঞ্জন অন্য মেয়েকে বিয়ে করেছেন বলে খবর পেয়ে ওই ছাত্রী বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে শহরের মুজগুন্নী আবাসিক এলাকায় ১৬ নম্বর রোডে গিয়ে শিঞ্জনের সঙ্গে দেখা করেন।
“শিঞ্জন তাকে সেখান থেকে জোর করে একটি ইজিবাইকে তুলে দিতে গেলে স্থানীয়দের নজরে আসে। খবর পেয়ে পুলিশ দুইজনকেই থানায় নিয়ে যায়। গভীর রাত পর্যন্ত উভয়পক্ষকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পেয়েছে পুলিশ।”
শুক্রবার দুপুরে ওই ছাত্রী নারী ও শিশুনির্যাতন দমন আইনে শিঞ্জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন জানিয়ে তিনি বলেন, ছাত্রীকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে ভর্তি করা হয়েছে। শিঞ্জনকে আরও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতে পাঠিয়ে পাঁচ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করা হবে।
ছাত্রীকে বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থা আইনি সহায়তা দেবে বলে জানিয়েছেন খুলনার সমন্বয়কারী আইনজীবী মোমিনুল ইসলাম।