বরগুনা থানার ওসি আবির মোহাম্মদ হোসেন জানান, শহরের সরকারি কলেজ সংলগ্ন নয়ন বন্ডের বাসায় চুরি হওয়ার একটি অভিযোগ তারা পেয়েছেন।
শুক্রবার সকালে নয়নের মা সাহিদা বেগম থানায় এ অভিযোগ দায়ের করেন বলে জানান তিনি।
সাহিদা সাংবাদিকদের বলেন, বৃহস্পতিবার সকালে তিনি এক আত্মীয়ের বাসায় বেড়াতে গিয়েছিলেন। শুক্রবার সকালে প্রতিবেশীরা তার ঘরের তালা ভাঙা দেখে তাকে খবর দেয়। পরে তিনি বাসায় গিয়ে ঘরের আসবাবপত্র এলোমেলো অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন।
তিনি বলেন,“নয়নের মিলাদের জন্য বাসায় তিনি ৪১ হাজার টাকা রেখেছিলেন এবং তার ছেলের বউয়ের ঘরে ১৪ হাজার টাকা রাখা ছিল। সেগুলোসহ স্বর্ণের কানের ঝুমকা, কানের রিং, গলার হার, হাতের রুলি, মাথার টিকলি সোনার চেইন, ও দেড় ভরি ওজনের তিনটি আংটি খুঁজে পাওয়া যাচ্ছেনা।”
এছাড়া নয়নের কিছু কাগজপত্র ও জমির দলিলপত্র চুরি হয়েছে বলেও পুলিশের কাছে দেওয়া বিবরণে উল্লেখ করেন সাহিদা।
এ বিষয় ওসি বলেন, নয়নের বাসায় পুলিশ পাঠানো হয়েছে। ঘটনা তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
গত ২৫ জুন জেলা শহরের কলেজ রোডে প্রকাশে কুপিয়ে হত্যা করা হয় রিফাতকে। এ নিয়ে দেশব্যাপী সমালোচনার মধ্যে ২ জুলাই এ হত্যা মামলার প্রধান সন্দেহভাজন সাব্বির আহম্মেদ ওরফে নয়ন বন্ড পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত হন।
রিফাতের ওপর হামলার ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়লে সেখানে দেখা যায়, দুই যুবক রামদা হাতে রিফাতকে একের পর এক আঘাত করে চলেছে। আর তার স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নি স্বামীকে বাঁচানোর জন্য হামলাকারীদের ঠেকানোর চেষ্টা করছেন।
বরগুনার সরকারি কলেজের ডিগ্রি প্রথম বর্ষের ছাত্রী মিন্নি হামলাকারী সবাইকে চিনতে না পারার কথা জানালেও নয়ন বন্ড, রিফাত ফরাজী ও রিশান ফরাজীর নাম বলেন।
তবে পুলিশ ঘটনার তদন্তে নেমে মিন্নিকে গ্রেপ্তার করে। রিমান্ডে নিলে মিন্নি এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত বলে দোষ স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দেন। মিন্নির বাবার দাবি, তার মেয়েকে ভয় দেখিয়ে এই জবানবন্দি নিয়েছে পুলিশ। পুলিশ ভয় দেখানো অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
মিন্নি ও এজাহারভুক্ত সাতজনসহ এ মামলার মোট ১৫ আসামি কারাগারে রয়েছেন।