বৃহস্পতিবার উপজেলার কুতুবপুর এলাকায় এ দুজনের লাশ ভেসে ওঠে।
এদের একজন হলেন সারিয়াকান্দির মানিকদাইড় গ্রামের রেজউল ইসলামের স্ত্রী কাজলী বেগম (২৫)। আরেকজন যুবকের (৩৫) পরিচয় পাওয়া যায়নি। কাজলী বেগম নিখোঁজ ছিলেন।
গত মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে যমুনা নদীর পাকুরিয়ার চর ও বাটিয়ার চরের মাঝামাঝি এলাকায় শতাধিক যাত্রী বোঝাই নৌকা ডুবে দুজন নিহত ও পাঁচজন নিখোজ হন।
এ নিয়ে এই নৌকাডুবিতে চারজনের লাশ পাওয়া গেল। এখনও তিনজন নিখোঁজ রয়েছেন।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে সারিয়াকান্দির কুতুবপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের এসআই দূরুল হুদা জানান, কুতুবপুর এরাকায় বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় দুটি লাশ যমুনায় ভাসতে দেখে লোকজন পুলিশে খবর দেয়।
“পুলিশ লোকজনের সহায়তায় লাশ দুটি উদ্ধার করে পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে নেয়। এরপর কাজলী বেগমের লাশ তার পরিবার গ্রহণ করে। তবে অজ্ঞাত ব্যক্তির লাশ কুতুবপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে রয়েছে।”
মঙ্গলবার নৌকাটি যমুনা চরের চালুয়াবাড়ি ইউনিয়নের মানিকদাইড় চর থেকে সারিয়াকান্দি উপজেলা সদরের যমুনার কালিতলা ঘাটে যাচ্ছিল। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সারিয়াকান্দির পাকুরিয়ার চর ও বাটিয়ার চরের মাঝামাঝি এলাকায় শতাধিক যাত্রী বোঝাই নৌকাটি ডুবে যায়।
এ দুর্ঘটনায় ওইদিন নিখোঁজ ছিলেন জামালপুরের মাদারগঞ্জ উপজেলার পাকরল গ্রামের জওহর আলী, তার ৭ বছরের মেয়ে সুরমা, একই উপজেলার চর পাকেরদহ গ্রামের জাহেদুল, তার ২ মাস বয়সী শিশু এবং বগুড়ার সারিয়াকান্দি উপজেলার মানিকদাইড় গ্রামের রেজউল ইসলামের স্ত্রী কাজলী বেগম।
এদের মধ্যে কাজলী বেগমের লাশ পাওয়া গেল। অজ্ঞাত লাশটি বাকি চারজনের মধ্যে একজনের হতে পারে।