জলঢাকায় ভিজিএফের চাল উদ্ধারের তদন্ত শুরু

নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলায় দুই ব্যবসায়ীর গুদাম থেকে দুই হাজার ১১০ বস্তা ভিজিএফের চাল উদ্ধারের ঘটনা তদন্ত শুরু হয়েছে।

নীলফামারী প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 14 August 2019, 04:48 PM
Updated : 14 August 2019, 04:48 PM

বুধবার ত্রাণ ও দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের পরিচালক (ভিজিএফ) গিয়াস উদ্দিন তদন্ত কাজ শুরু করেন।

এ সময় তিনি ভিজিএফ চাল বিতরণে সংশ্লিষ্ট উপজেলার ১১টি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, ইউপি সচিব, ট্যাগ অফিসার, জলঢাকা পৌরসভা মেয়র, উপজেলা খাদ্য গুদাম কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন জনের সঙ্গে কথা বলেন।

উপজেলা প্রশাসন জানায়, ঈদ উল আজহা উপলক্ষে দরিদ্রদের মাঝে উপজেলার ১১টি ইউনিয়নের ৭৮ হাজার পরিবারের ১৫ কেজি করে বিতরণের জন্য ১১৭০ মেট্রিক টন চাল বিশেষ ভিজিএফ বরাদ্দ দেয় সরকার। এসব চালের মধ্যে ৬৩ দশমিক ৩০০ মেট্রিক টন চাল বিতরণ না করে কালোবাজারে বিক্রির অভিযোগে ওঠে জনপ্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে।

ওই অভিযোগের ভিত্তিতে গত শুক্রবার (৯ অগাস্ট) জলঢাকা শহরের পুরাতন গরুহাটি এলাকার ব্যবসায়ী আমজাদ হোসেনের গুদামে ৩০ কেজি ওজনের এক হাজার ৫৮০ বস্তা এবং সিরাজুল ইসলামের গুদাম ৫৩০ বস্তাসহ মোট দুই হাজার ১১০ বস্তা চাল জব্দ করে গুদাম সিলগালা জলঢাকা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সুজাউদ্দৌলা।

পরে ওই দুই ব্যবসায়ীকে আসামি করে জলঢাকা থাকায় একটি মামলা দায়ের করেন জলঢাতা উপজেলার  প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ময়নুল হক।

এ বিষয়ে জলঢাকা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সুজাউদ্দৌলা বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গত শুক্রবার বিকালে অভিযান চালিয়ে দুইজন ব্যবসায়ীর গুদামে ৩০ কেজি ওজনের দুই হাজার ১১০ বস্তা সরকারি বস্তায় ৬৩ দশমিক ৩০০ মেট্রিক টন চাল পাওয়া গেলে তা তাৎক্ষণিকভাবে জব্দ করা হয়।

এ ঘটনায় উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ময়নুল হক বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেছেন। বুধবার সকালে ত্রাণ ও দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের পরিচালক (ভিজিএফ) মো. গিয়াস উদ্দিনের নেতৃত্বে গঠিত এক সদস্যের তদন্ত কমিটি তদন্ত শুরু করেছেন বলে ইউএনও জানান।

মামলার বাদী উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায় কর্মকর্তা ময়নুল হক বলেন, দুইজন চাল ব্যবসায়ীকে আসামি করে মামলাটি দায়ের করা হয়েছে। ওই চালের বিষয়ে জানতে ত্রাণ ও দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের গঠিত তদন্ত কমিটি তদন্ত শুরু করেছে।

ত্রাণ ও দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের পরিচালক (ভিজিএফ) মো. গিয়াস উদ্দিন বলেন, “তদন্ত শুরু করেছি। সংশ্লিষ্ঠ সকলের সঙ্গে কথা বলছি। তদন্তের সার্থে এই মুহুর্তে কিছু বলা যাবে না।”

জলঢাকা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ফজলুর রহমান বলেন, দুইজন চাল ব্যবসায়ীকে আসামি করে মামলা করেছেন উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও)। মামলাটির তদন্ত চলছে। আসামি গ্রেপ্তারের অভিযান অব্যাহত আছে।

তবে ওই দুই ব্যবসায়ীর দাবি, সরকারিভাবে চাল ক্রয়ে খাদ্য বিভাগের সঙ্গে তাদের চুক্তি রয়েছে। ওই চুক্তি অনুযায়ী খাদ্য বিভাগ তাদের সরকারি খালি বস্তা সরবরাহ দিয়েছে। তারা ওই বস্তায় তাদের মিলের চাল মজুদ করেছেন, যা ঈদের পর সরকারি খাদ্য গুদামে সরবরাহ করা হবে।