বুধবার সকালে ঠাকুরগাঁওয়ের বাড়িতে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
ফখরুল বলেন, “কোরবানির পশুর চামড়া লেদার ইন্ডাস্ট্রিজে বড় একটা ভূমিকা পালন করে। কিন্তু পরিকল্পিত নিয়ম-নীতি না থাকায় এবং সিন্ডিকেটের কারণে চামড়া ক্রয়-বিক্রয় নিয়ে ব্যবসায়ীরা প্রচণ্ডভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। বহু জায়গায় চামড়া মাটিতে পুঁতে দেওয়া হয়েছে।
“সরকারের সমস্যাটা হচ্ছে তাদের সঙ্গে জনগণের সম্পর্ক নেই। কোথায় জনগণ ক্ষতিগ্রস্ত হল, কার কোথায় ইন্ডাস্ট্রির ক্ষতি হল এটা নিয়ে সরকারের কখনও মাথা ব্যথা ছিল না; এখনও নেই।”
বিএনপি শাসনামলের চামড়াশিল্প সম্পর্কে ফখরুল বলেন, “আমাদের সময় চামড়া কেনার জন্য ব্যাংক থেকে লোন দেওয়া হত। চামড়া ব্যবসায়ীদের এবং যারা লেদার ইন্ডাস্ট্রিজের সঙ্গে জড়িত তাদের কাছে চামড়া পৌঁছে দেওয়া হত। এ ধরনের কোনো কিছু না থাকার কারণে চামড়াশিল্পে বিপর্যয় সৃষ্টি হয়েছে।”
সরকার কাঁচা চামড়া রপ্তানির সিদ্ধান্ত নিলেও তাতে অনেক দেরি হয়ে গেছে বলে ফখরুল মন্তব্য করেন।
“এখন শেষ মুহূর্তে বলা হচ্ছে যে চামড়া এক্সপোর্ট করা হবে; এই সিদ্ধান্তও হয়েছে অনেক দেরিতে।”
জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি আবু তাহের দুলাল, দপ্তর সম্পাদক মামুনুর রশিদ মামুন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাসান মাহমুদ মামুন, পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক তারিক আদনান, থানা যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক লিটন মির্জা ফখরুলের সঙ্গে ছিলেন।