বিরূপ আবহাওয়ায় পদ্মা পারাপার ব্যাহত

বৈরী আবহাওয়ার কারণে মুন্সীগঞ্জের শিমুলিয়া আর মাদারীপুরের কাঁঠালবাড়ী ঘাটের মধ্যে টানা দ্বিতীয় দিনের মত লঞ্চ ও স্পিডবোট চলাচল বন্ধ রয়েছে।

মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 14 August 2019, 05:02 AM
Updated : 14 August 2019, 05:02 AM

তবে সীমিত আকারে ফেরি চলাচল করায় এবং ঈদের ফিরতি পথের যাত্রীদের চাপ এখনও সেভাবে না বাড়ায় ঘাটে খুব বেশি জট তৈরি হয়নি বলে জানিয়েছেন শিমুলিয়া ঘাটে বিআইডাব্লিউটিসির উপ-মহাব্যবস্থাপক (এজিএম) নাসির মোহাম্মদ চৌধুরী।  

বুধবার সকালে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “আবহাওয়ার কারণে ঘাটের অবস্থা বেশ খারাপ। ১৭টি ফেরির মধ্যে ১২টি ফেরি দিয়ে পারাপার চালু রাখা হয়েছে।”

বুধবারের আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, কুষ্টিয়া, যশোর, খুলনা, ঢাকা, ফরিদপুর, মাদারিপুর, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার এলাকার ওপর দিয়ে দক্ষিণ/দক্ষিণ-পুর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৬০ থেকে ৮০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। সঙ্গে থাকতে পারে বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি।

এ কারণে এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ২ নম্বর নৌ-হুঁশিয়ারী সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

এই আবহাওয়ায় পদ্মা উত্তাল থাকায় কাঁঠালবাড়ি ও শিমুলিয়ার মধ্যে লঞ্চ ও স্পিডবোট চলাচল মঙ্গলবারই বন্ধ করে দেওয়া হয়। পরিস্থিতি বুঝে কখনও ফেরি চলাচল বন্ধ রাখা হয়, কখনও আবার সীমিত আকারে পারাপার চলে। 

মাওয়া নৌ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্য মো. আমিনুল ইসলাম জানান, স্পিডবোট আর লঞ্চ চলাচল বন্ধ থাকায় যাত্রীরা ফেরিতে উঠে পদ্মা পার হচ্ছে। যাত্রীদের ভিড়ে কখনও কখনও ফেরিতে গাড়ি ওঠানো যাচ্ছে না। 

তবে সকালে যাত্রীর তেমন চাপ না থাকায় ঘাটে যানযট মারাত্মক হয়ে ওঠেনি। সকাল ১০টায় শিমুলিয়া ঘাট এলাকায় শতাধিক যানবাহন পারাপারের অপেক্ষায় ছিল বলে জানান আমিনুল।

এবার কোরবানির ঈদের ছুটি মঙ্গলবারই শেষ হয়েছে। বুধবার অফিস ধরার জন্য কেউ কেউ ফিরতে শুরু করেছেন। তবে বৃহস্পতিবার জাতীয় শোক দিবসের ছুটি এবং শুক্র-শনি সাপ্তাহিক ছুটি থাকায় ফিরতি পথের যাত্রীদের চাপ শনিবারই বেশি থাকবে বলে বিআইডাব্লিউটিসি কর্মকর্তাদের ধারণা।