ঈদের পরদিন মঙ্গলবার বাজারে গিয়ে দেখা গেছে, মৌসুমি ব্যবসায়ীরা ঈদের দিন কেনা চামড়া নিয়ে বসে আছেন। কিন্তু কোনো ক্রেতা নেই।
দিনাজপুর চামড়া ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবুল খায়ের বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ঢাকার ট্যানারিতে প্রচুর চামড়া অবিক্রিত আছে। তাই এখন আর চামড়া কিনে বিক্রির নিশ্চয়তা নেই।”
সমিতির সাবেক সভাপতি আকতার আজিজ বলেন, “ছাগলের চামড়া কেউ কিনছে না। কারণ লবণজাত করতে যে খরচ, বিক্রি করে তাও উঠবে না।
দিনাজপুরের এই চামড়ার বাজারে ঈদের দিন রাত পর্যন্ত গরুর চামড়া প্রতিটি ২০০ থেকে ৩০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। ছাগলের চামড়া বিক্রি হয়েছে ১০ থেকে ১৫ টাকা দরে। কিন্তু ঈদের পরদিন দৃশ্য ভিন্ন। গরুর চামড়া ১০০ টাকায়ও বিক্রি করতে পারছেন না মৌসুমি ব্যবসায়ীরা। আর ছাগলের চামড়া ৫ টাকায়ও কেউ কিনছে না।
জেলার বিরল উপজেলার মৌসুমি চামড়া ব্যবসায়ী তৌহিদুল হক বলেন, “ছাগলের চামড়া পাঁচ টাকায় কেনার মতও কোনো ক্রেতা নেই। গরুর চামড়া ঈদের দিন রাতে বিক্রি করেছি প্রতিটি ২০০ থেকে ৩০০ টাকায়। ঈদের পরদিন সেই চামড়া ১০০ টাকায় বিক্রি করতে পারছি না।”
আরেক মৌসুমি ব্যবসায়ী রফিকুল হক বলেন, “গরুর চামড়া বিক্রি করতে এসে কেনা দামের চেয়ে অর্ধেক দামে বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছি। ৪৮ হাজার টাকার মাল কিনে বিক্রি করতে হয়েছে ২০ হাজার টাকায়। লোকসানে বিক্রি না করলে চামড়া ফেলে দিতে হত।”