বাজারে চামড়া ফেলে যাচ্ছেন মৌসুমি ব্যবসায়ীরা

উত্তরবঙ্গের অন্যতম বৃহত্তম চামড়ার বাজার দিনাজপুরের রামনগরে ক্রেতা মিলছে না। সংরক্ষণের ব্যবস্থা না থাকায় মৌসুমি ব্যবসায়ীরা চামড়া বাজারে ফেলেই চলে যাচ্ছেন।

দিনাজপুর প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 13 August 2019, 09:13 AM
Updated : 13 August 2019, 09:22 AM

ঈদের পরদিন মঙ্গলবার বাজারে গিয়ে দেখা গেছে, মৌসুমি ব্যবসায়ীরা ঈদের দিন কেনা চামড়া নিয়ে বসে আছেন। কিন্তু কোনো ক্রেতা নেই।

দিনাজপুর চামড়া ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবুল খায়ের বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ঢাকার ট্যানারিতে প্রচুর চামড়া অবিক্রিত আছে। তাই এখন আর চামড়া কিনে বিক্রির নিশ্চয়তা নেই।”

সমিতির সাবেক সভাপতি আকতার আজিজ বলেন, “ছাগলের চামড়া কেউ কিনছে না। কারণ লবণজাত করতে যে খরচ, বিক্রি করে তাও উঠবে না।

“মৌসুমি ব্যবসায়ীরা অনেকেই বাজারে রাস্তার পাশে চামড়া ফেলে রেখে চলে গেছে। কারণ এই চামড়া বাড়ি নিয়ে যেতে পরিবহন বাবদ তাদের আরও লোকসান হবে। আবার প্রক্রিয়াজাতও তারা করতে পারে না। প্রক্রিয়াজাত করতে গেলে লোকসান হয়ত আরও বাড়বে।”

দিনাজপুরের এই চামড়ার বাজারে ঈদের দিন রাত পর্যন্ত গরুর চামড়া প্রতিটি ২০০ থেকে ৩০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। ছাগলের চামড়া বিক্রি হয়েছে ১০ থেকে ১৫ টাকা দরে। কিন্তু ঈদের পরদিন দৃশ্য ভিন্ন। গরুর চামড়া ১০০ টাকায়ও বিক্রি করতে পারছেন না মৌসুমি ব্যবসায়ীরা। আর ছাগলের চামড়া ৫ টাকায়ও কেউ কিনছে না।

জেলার বিরল উপজেলার মৌসুমি চামড়া ব্যবসায়ী তৌহিদুল হক বলেন, “ছাগলের চামড়া পাঁচ টাকায় কেনার মতও কোনো ক্রেতা নেই। গরুর চামড়া ঈদের দিন রাতে বিক্রি করেছি প্রতিটি ২০০ থেকে ৩০০ টাকায়। ঈদের পরদিন সেই চামড়া ১০০ টাকায় বিক্রি করতে পারছি না।”

আরেক মৌসুমি ব্যবসায়ী রফিকুল হক বলেন, “গরুর চামড়া বিক্রি করতে এসে কেনা দামের চেয়ে অর্ধেক দামে বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছি। ৪৮ হাজার টাকার মাল কিনে বিক্রি করতে হয়েছে ২০ হাজার টাকায়। লোকসানে বিক্রি না করলে চামড়া ফেলে দিতে হত।”