ঈদে কাশিমপুরে নারী কারাবন্দিরা পেলেন প্রসাধন সামগ্রী

ঈদুল আজহায় কাশিমপুর কেন্দ্রীয় মহিলা কারাগারের বন্দিদের বিভিন্ন প্রসাধন সামগ্রী দেওয়া হয়েছে। পুরুষদের মধ্যে গরীব ও দুঃস্থ বন্দিদের লুঙ্গি দেওয়া হয়। এছাড়া বরাবরের মতো সবার জন্য সকাল দুপুর ও রাতে বিশেষ খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

আবুল হোসেন গাজীপুর প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 12 August 2019, 03:04 PM
Updated : 12 August 2019, 03:04 PM

এবারও কাশিমপুর কারাগারে ঈদ করেছেন সাবেক প্রতিমন্ত্রী আব্দুস সালাম পিন্টু, জামায়াতে ইসলামী নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী, নারায়ণগঞ্জের আলোচিত সেভেন মার্ডার মামলার আসামি নুর হোসেন ও র‌্যাব-কর্মকর্তা তারেক-সাঈদরাসহ অনেকেই।

কাশিমপুর কেন্দ্রীয় মহিলা কারাগারের সুপার শাহজাহান আহমেদ জানান, মহিলা কারাগারে ৮৪০ জন বন্দি রয়েছেন। এখানে পুলিশ কর্মকর্তা হত্যা মামলার আসামি তার মেয়ে ঐশীসহ বন্দিদের ৬৯ জন সন্তানও রয়েছে। এছাড়া এই কারাগারে ১৩ জন ফাঁসির আসামি ও অর্ধশতাধিক যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি রয়েছেন।

স্থানীয় ব্যবস্থাপনায় এ কারাগারের প্রত্যেক বন্দিকে লিপস্টিক, মেহেদী, টিপ, সাবান ও লোশন দেওয়া হয়েছে বলে তিনি জানান।

কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-১-এর ভারপ্রাপ্ত সুপার সুব্রত কুমার বালা জানান, যুদ্ধাপরাধের দায়ে আমৃত্যু কারাদণ্ডে দণ্ডিত জামায়াতে ইসলামী নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীসহ বিভিন্ন মামলার দেড় সহস্রাধিক বন্দি রয়েছেন। তাদের মধ্যে ৮০ জন ফাঁসি ও ৯০ জনের মতো যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামিও রয়েছেন।

এখানে বন্দিদের জন্য আলাদাভাবে তিনটি ঈদের জামাতের আয়োজন করা হয়েছে। এছাড়া নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় এখানকার গরীব ও দুঃস্থ বন্দিদের মাঝে ৪শত লুঙ্গী বিতরণ করা হয়।

কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২ এর সুপার সুব্রত কুমার বালা জানান, তার কারাগারে সাবেক প্রতিমন্ত্রী আব্দুস সালাম পিন্টু, নারয়ণগঞ্জের আলোচিত সেভেন মার্ডার মামলার আসামি র‌্যাব কর্মকর্তা তারেক সাঈদ ও নুর হোসেনসহ তিন হাজার ৮০০-এর মতো বন্দি রয়েছেন। তাদের মধ্যে ১৩০ জন ফাঁসির ও শতাধিক যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত।

এখানে চারটি পৃথক ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে বলে তিনি জানান।

কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার বিকাশ রায়হান জানান, এই কারাগারের তিন হাজার বন্দির মধ্যে আটশ’র মতো ফাঁসির  এবং চার শ’র মতো যাবজ্জীবন দণ্ডাপ্রাপ্ত বন্দি রয়েছেন।

এখানে বন্দিদের জন্য ঈদের দুটি জামায়াত অনুষ্ঠিত হয়েছে বিলে তিনি জানান।

গাজীপুরে ওই চারটি কারাগারের বন্দিদের জন্য প্রতিবারের মতো বিশেষ খাবারের আয়োজন করা হয়েছে।

সকালের নাস্তায় পায়েস ও মুড়ি, দুপুরে আলুর দম, রুইমাছ ভাজা, ডিম ও সাদা ভাত এবং রাতে পোলাও-মাংস, সালাদ, মিষ্টি, পান-সুপারী ও কোমল পানীয় রয়েছে।