ফেরি চলাচল স্বাভাবিক থাকায় দুই ঘাটে যানবাহনেরও তেমন চাপ নেই। ভোগান্তি ছাড়াই পারাপার চলছে।
বিআইডাব্লিউটিসির শিমুলিয়া ঘাটের সহকারী মহাব্যবস্থাপক নাসির মোহাম্মদ চৌধুরী জানান, রোববার সকাল থেকে শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ি নৌ-রুটে ১৭টি ফেরি চলাচল করছে।
সকাল থেকে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ফেরি চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। ফলে পারাপারের অপেক্ষায় থাকা গাড়িগুলোকে দ্রত পার করা সম্ভব হয়েছে বলে জানান বিআইডব্লিউটিএ এর শিমুলিয়া ঘাটের পরিদর্শক মো. সোলেমান।
সকাল থেকে লঞ্চঘাট ও স্পিডবোট ঘাটে যাত্রীদের কিছুটা চাপ দেখা গেছে। শিমুলিয়া ঘাট থেকে ৮৮ টি লঞ্চ ও ৩৫০ স্পিডবোট দিয়ে যাত্রী পারাপার করছে।
ঈদ উপলক্ষে রাত ১০টা পর্যন্ত শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ি নৌরুটে লঞ্চ চলাচল করে বলে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।
শিমুলিয়া ঘাটে সকাল থেকে শতাধিক গাড়ি পাপারের অপেক্ষায় থাকতে দেখা গেছে; এর মধ্যে প্রাইভেট কারের সংখ্যাই বেশি।
সলেমান বলেন, সারাদিনে আবহাওয়া স্বাভাবিক থাকলে ফেরি চলাচলে কোনো সমস্যা থাকবে না ও অপেক্ষায় থাকা গাড়ির চাপও কমে আসবে।
তবে শিমুলিয়া ঘাটে বাস ও স্পিড বোটে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় এবং লঞ্চে অতিরিক্ত যাত্রী বহনের অভিযোগ করেছেন যাত্রীরা।
মাদারীপুরগামী হিরু মিয়া বলেন, ইলিশ পরিবহনের বাসে ৭০ টাকার জায়গায় ১৫০ টাকা এবং স্পিডবোটে ১৮০ টাকার জায়গায় ২০০ টাকা নেওয়া হয়েছে।
মাওয়া ট্রাফিক পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক হেলাল উদ্দিন জানান, ঈদে নির্বিঘ্নে বাড়ি ফেরা নিশ্চিত করতে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাঁচ শতাধিক সদস্য কাজ করছেন।
অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন, এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া ফেরিঘাটে সকাল থেকে যাত্রী ও যানবাহন কম থাকলেও ব্যক্তিগত গাড়ি ও লঞ্চঘাটে যাত্রীর চাপ দেখা গেছে বলে বিআইডব্লিউটিএর সহকারী পরিচালক ফরিদুল ইসলাম জানান।
তিনি বলেন, পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথে ২৩টি ফেরি দিয়ে যাত্রী পারাপার কারানো হচ্ছে। প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস, হাইয়েচ ও জিপ গাড়িতে করে আজও অনেকেই বাড়ি ফিরছেন।
বেলা ১১ টার দিকে পাটুরিয়া ঘাট এলাকায় দুই শতাধিক ব্যক্তিগত গাড়ি নদী পারের অপেক্ষায় রয়েছে।
বিআইডব্লিউটিসির আরিচা কার্যালয়ের সহকারী ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) মহীউদ্দিন রাসেল বলেন, সবগুলো ফেরি সচল থাকায় এবং যাত্রী ও যানবাহনের সংখ্যা কমে আসায় এখন পাটুরিয়ার পরিস্থিতি অনেকটা স্বাভাবিক।
দুপুর পর্যন্ত পাটুরিয়া ঘাট এলাকায় ৬০-৭০টি যাত্রীবাহী বাস নদী পারের অপেক্ষায় রয়েছে বলে জানান তিনি।