এ ব্যাপারে র্যাব ও যুবকের স্বজন পরস্পর বিরোধী বক্তব্য দিয়েছে।
শুক্রবার সদর উপজেলার জয়বাংলা হাট থেকে ডিপ্লোমা প্রকৌশলী নাজমুল হাসান শামীমকে র্যাব আটক করে।
আটক শামীম উপজেলার শাখারিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সদ্য নির্বাচিত চেযারম্যান কামরুল হুদা উজ্জ্বলের ছোটো ভাই।
কামরুল হুদা উজ্জ্বলের দাবি, তার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ ষড়যন্ত্র করে তার ভাইকে ফাঁসিয়েছে।
চেযারম্যান ও যুবলীগ নেতা কামরুল হুদা উজ্জ্বল বলেন, শুক্রবার সন্ধ্যায় জয়বাংলা হাটে শত শত মানুষের উপস্থিতিতে তার ভাইকে একটি প্রাইভেট কারে (ঢাকা মেট্র খ- ১২-২০২৪) তুলে নিয়ে যায় র্যাব সদস্যরা।
উজ্জ্বল বলেন, তাকে টেনে হিঁচড়ে নেওয়ার সময় তিনি ননিজে ও হাটের লোকজন বাধা দিলে র্যাব সদস্যরা নিজেদের পরিচয় দিয়ে বলেন যে শামীমকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য র্যাব অফিসে নিতে হবে।
এ সময়ং র্যাব সদস্যরা শামীমের দেহ তল্লাশি করে কিছু টাকা ও মোবাইল ফোন বের করে সেটা তাকে (উজ্জ্বল) বুঝিয়ে দিয়ে শামীমকে উঠিয়ে নিয়ে যায় বলে উজ্জ্বল জানান।
উজ্জ্বল জানান, শনিবার সকালে তাদের পরিবারের কয়েকজন নারী সদস্য র্যাব ১২ এর ক্যাম্পে গিয়ে কান্নাকাটি করলে র্যাব সদস্যরা তাদের থানায় খোঁজ নিতে বলেন।
থানায় এসে স্বজনরা জানতে পারেন রাতে শামীমের দেখানো জায়গা থেকে একটি শট গান ও একটি রিভলবার উদ্ধার দেখিয়ে অস্ত্র মামলা দিয়ে পুলিশে হস্তান্তর করা হয়েছে, বলেন উজ্জ্বল।
এ প্রসঙ্গে বগুড়া সদর থানার ওসি এসএম বদিউজ্জামান বলেন, বিধি মোতাবেক মামলাটির তদন্তভার এসআই মঞ্জুর কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। পাশাপাশি শামীমকে কোর্টের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠোনো হয়েছে।
এ ব্যাপারে চেয়ারম্যান কামরুল হুদা উজ্জ্বল তার ফেইসবুক পোস্টে লেখেন এবং গণমাধ্যম কর্মীদের বলেন, তার রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী এ ঘটনা সাজিয়েছে।
তিনি এই ঘটনার তদন্ত র্যাবের কাউন্টার ইন্টেলিজেন্স ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর বিশেষ তদন্তের দাবি করেছেন।
এ বিষয়ে র্যাব-১২ বগুড়ার অধিনায়ক মেজর মোর্শেদ বলেন, শনিবার (১০ অগাস্ট) গোপন সংবাদ পেয়ে র্যাব-১২-এর একটি দল বগুড়া সদর থানার ২য় বাইপাস জোড়গাছা জয়বাংলা হাটে অভিযান পরিচালনা করে সন্ত্রাসী নাজমুল হাসান শামীমকে গ্রেপ্তার করে।
“পরে তার দেওয়া তথ্য মতে জোড়গাছা জয়বাংলা হাটের পাশের কলাগাছের ঝোপের ভিতর থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, একটি ম্যাগজিন, দুই রাউন্ড গুলি, একটি একনলা বন্দুক এবং তিন রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার করে।”
মেজর মোর্শেদ বলেন, শামীম এর বিরুদ্ধে বগুড়া সদর থানায় শিশু অপহরণ, অস্ত্র এবং বিস্ফোরক আইনে একাধিক মামলা রয়েছে।
গ্রেপ্তার শামীম বগুড়া সদর উপজেলার উলিপুর নয়াপাড়ার নজরুল ইসলামের ছেলে।