শনিবার কুচদহ ইউনিয়নের চককরিম গ্রামে এ সংঘর্ষ থামাতে পুলিশ ২০ রাউন্ড গুলিবর্ষণের কথা জানিয়েছে।
নিহত ৩৭/৩৮ বছরের লিটন ওই গ্রামের আতিয়ারের ছেলে।
নিহত লিটনের গায়ে গুলির চিহ্ন পাওয়ার কথা হাসপাতাল থেকে বলা হলেও পুলিশ তাদের গুলিতে নিহত হওয়ার কথা অস্বীকার করেছে।
আহতদের মধ্যে দুইজনকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ছয়জনকে দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
তাৎক্ষণিকভাবে আহতদের পরিচয় পাওয়া যায়নি।
নবাবগঞ্জ থানার ওসি সুব্রত রায় বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, একটি জমির মামলায় স্থানীয় রফিক মিয়ার পক্ষে আদালতের রায়ের প্রেক্ষিতে তিনি আদালতের নাজির ও পুলিশ নিয়ে শনিবার সকালে দখল নিতে যান।
“এ সময় রফিক মিয়ার প্রতিপক্ষ আতিয়ারসহ তার লোকজন বাধা দিলে দুপক্ষের সংঘর্ষ বাধে।”
ওসি বলেন, “এক পর্যায়ে তারা নাজিরসহ পুলিশের উপর হামলা চালায়। এতে নাজির শাহ আলম ও তিন পুলিশ সদস্য আহত হন। এ সময় জানমাল রক্ষায় পুলিশ ২০ রাউন্ড ফাঁকা গুলি চালিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ”
হাসপাতালের ওয়ার্ড মাস্টার মাসুদ রানা বলেন, নিহত ব্যক্তির গায়ে গুলির চিহ্ন আছে। যে দুজনকে রংপুর মেডিকেলে পাঠানো হয়েছে তাদের একজনের গায়ে গুলির চিহ্ন রয়েছে।
তবে পুলিশের গুলিতে কেউ হতাহত হওয়ার কথা পুলিশ অস্বীকার করেছে।
এ ব্যাপারে ওসি বলেন, পুলিশ ফাঁকা গুলি চালিয়েছে। তাদের গুলিতে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।