গরুর ‘ভাল দাম’ পেয়ে খুশি কোটালীপাড়ার খামারিরা

গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলায় কোরবানির গরুর ‘ভাল দাম’ পেয়ে খামারিরা খুশি বলে তারা জানিয়েছেন।

মনোজ সাহা গোপালগঞ্জ প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 10 August 2019, 11:47 AM
Updated : 10 August 2019, 12:53 PM

উপজেলার তারাইল গ্রামের খামারি অনন্ত বাইন বলেন, তারা পৌষ মাসে গরু কিনে বিলে ছেড়ে দেন। মাঠের ঘাস খেয়ে গরু বড় হয়।

“তারপর ৩০ জ্যৈষ্ঠ গরু বাড়ি নিয়ে আসি। বাড়িতে ঘাস, খৈল, ভুসি খাওয়াই। এতে খরচ খুব কম পড়ে। তাই বেশি লাভ হয়। হাটবাজারে আমাদের গরুর চাহিদা রয়েছে। কোরবানির হাটের আগেই ব্যাপারিরা ভাল দাম দিয়ে আমাদের কাছ থেকে গরু কিনে নিয়ে গেছে।”

তিনি গত ১০ বছর ধরে এভাবেই তার খামারে গরু পালন করেন বলে জানান।

ব্যাপারি নির্মল মজুমদার বলেন, এ বছর তিন মণ থেকে আট মণ ওজনের ২১টি গরু কিনেছেন তিনি।

“গড়ে প্রতিমণ গরু ২২ হাজার টাকা দরে কিনেছি। হাটে এ গরুর ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। এ বছর ইন্ডিয়ান গরু আসেনি। তাই এ গরু বিক্রি করে ভাল লাভ হবে আশা করছি।”

কোটালীপাড়ায় স্থানীয় চাহিদার চেয়ে বেশি পশু উৎপাদন হয় বলে জানিয়েছে উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর।

উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা পলাশ কুমার দাস বলেন, এ উপজেলার বিল এলাকার প্রায় প্রতি বাড়িতে পাঁচ থেকে ২৫টি গরু পালন করা হয়েছে এ বছর। ১১৫৭টি খামারে ৭৪৬১টি গরু পালনের হিসাব রয়েছে তাদের দপ্তরে।

“এর মধ্যে কোরবানির গরুর চাহিদা প্রায় পাঁচ হাজার। উদ্বৃত্ত গরুগুলো ব্যাপারিরা কিনে অন্য জেলায় নিয়ে বিক্রি করেন। প্রায় সব গরু খামারিরা শুক্রবারের আগেই ব্যাপারিদের কাছে বিক্রি করেছেন। এ বছর ৬৫ হাজার থেকে শুরু করে পাঁচ লাখ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়েছে একেকটি গরু। ব্যাপারিরা খামারে এসে এসব গরু কিনে নিয়ে গেছেন। ভাল দাম পাওয়ায় আগামী বছর কোটালীপাড়ায় আরও বেশি খামার গড়ে উঠবে বলে  আশা করছি।”