এছাড়া মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া ঘাটে যানবাহনগুলোকে দুই-তিন ঘণ্টা আটকে থাকতে হচ্ছে বলে জানিয়েছেন যাত্রীরা।
পাটুরিয়া ঘাটে সোহাগ পরিবহনের যাত্রী মতিউর রহমান বলেন, “ঢাকার গাবতলী থেকে পাটুরিয়া ঘাটে আসতে আমার গাড়ির সময় লেগেছে সাত ঘণ্টা।”
গাড়ির চালক বিল্লাল হোসেন যাত্রীর কথার সঙ্গে সুর মিলিয়ে বলেন, “সাভার, নবীনগর, ধামরাই, মানিকগঞ্জের বানিয়াজুরী, মহাদেবপুর, বরংগাইল আর উথলী হয়ে পাটুরিয়া ঘাটে আসতে সাত ঘণ্টা সময় লেগেছে। স্বাভাবিক সময়ে লাগে আড়াই ঘণ্টার মত।”
এদিকে ব্যক্তিগত বিভিন্ন গাড়িরও চাপ পড়েছে পাটুরিয়া ঘাট এলাকায়। প্রাইভেট কার, মাইক্রোবাস, জিপ পাটুরিয়ার পাঁচ নম্বর ঘাট থেকে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের টেপড়া পর্যন্ত প্রায় আট কিলোমিটার এলাকাজুড়ে দীর্ঘ সারিতে আটকা পড়ে থাকতে দেখা গেছে সন্ধ্যা ৭টায়। তবে সন্ধ্যার পর থেকে চাপ কমতে শুরু করে।
চৌধুরী মহিবুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তি বলেন, তিনি পরিবারের সদস্যদের নিয়ে মাইক্রোবাসে করে ঢাকা থেকে পাটুরিয়া ঘাটে এসেছেন আট ঘণ্টায়।
“সড়কে সৃশংখলা না থাকায় এবার ঈদে যাত্রীদের ভোগান্তি হচ্ছে।”
বাংলাদেশ নৌপরিবহন সংস্থার আরিচা কার্যালয়ে ডিজিএম মো. আজমল হোসেন বলেন, পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া পথে ফেরির সংখ্যা বাড়িয়ে ২০টা করা হয়েছে। প্রয়োজনীয় ফেরি থাকায় যানবাহন ও যাত্রী পারাপারে তেমন কোনো সমস্যা হচ্ছে না।
শুক্রবার রাত ৮টায় মহাসড়কের নয়াডিঙ্গি থেকে টেপড়া পর্যন্ত প্রায় ২৫ কিলোমিটার এলাকায় যানজট দেখা গেছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, শুক্রবার সকাল থেকে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে যানবাহনের চাপ বাড়তে থাকে। অতিরিক্ত যানবাহনে চাপ ও সুশৃংখলাভাবে না চলার কারণে ধীরগতিতে চলে যানবাহন। মাঝেমধ্যে ঘণ্টার পর ঘণ্টা একই স্থানেই আটকে থাকে যানবাহনগুলো। বেলা ২টার পর থেকে মহাসড়কে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়।
বরংগাইল হাইওয়ে পুলিশের ওসি ইয়ামিন-ই-দৌলা যানবাহনের ধীরগতির কারণ হিসেবে বলেন, “যে পরিমাণ গাড়ি এই সড়ক দিয়ে চলাচল করত, তার চেয়ে অনেক বেশি চলছে ঈদ উপলক্ষে। এ কারণে এ অবস্থা হয়েছে।
“এছাড়া ঈদ উপলক্ষে অসংখ্য পুরনো গাড়ি এসছে। সেগুলো রাস্তার মধ্যে বিকল হয়ে পড়ায় যানজট দেখা দিচ্ছে।”
তবে মানিকগঞ্জের পুলিশ সুপার রিফাত রহমান শামীম বলেন, “পাটুরিয়া ঘাটে কোনো ভোগান্তি নেই। মহাসড়কে অতিরিক্ত যানবাহনের চাপে কিছুটা দুর্ভোগে পড়েছেন যাত্রীরা।”