টাঙ্গাইলে ট্রেন লাইনচ্যুত, রেল চলাচল বন্ধ

টাঙ্গাইলে একটি ট্রেন লাইনচ্যুত হওয়ায় ঈদের তিন দিন আগে ঢাকার সঙ্গে উত্তরাঞ্চল ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের রেল চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে।

টাঙ্গাইল প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 9 August 2019, 09:09 AM
Updated : 9 August 2019, 11:44 AM

শুক্রবারের এই দুর্ঘটনা কোরবানির ঈদের পুরো সময়জুড়ে পশ্চিম রেলের ট্রেনগুলোর সময়সূচিতে বড় বিপর্যয় তৈরি করবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

ঢাকা থেকে খুলনাগামী সুন্দরবন এক্সপ্রেস ট্রেনটি দুপুর ১টা ২০ মিনিটে টাঙ্গাইলে বঙ্গবন্ধু সেতুর পূর্ব পাশে লাইনচ্যুত হয়।

বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্বপাড় রেল স্টেশন মাস্টার মাসুম আলী খান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন,  সুন্দরবন এক্সপ্রেসের একটি বগির দুটি চাকা বঙ্গবন্ধু সেতুর পূর্বপাড়ে সেতুতে উঠার আগে লাইনচ্যুত হয়।

এই দুর্ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি।

তবে এর পর থেকে এই পথ দিয়ে ঢাকা থেকে রাজশাহী, রংপুর ও খুলনা অঞ্চলের ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে।

মাসুম বলেন, “ট্রেনটি ঘটনাস্থলে আটকা পড়ে আছে। ট্রেনটি সচল করতে উদ্ধারকারী ট্রেন ঈশ্বরদী থেকে আসছে।”

ট্রেনটি উদ্ধার করে চলাচল স্বাভাবিক করতে অন্তত পাঁচ ঘণ্টা সময় লাগতে পারে বলে জানান তিনি।

এই দুর্ঘটনার কারণে বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিম পাড়ে সিল্কসিটিসহ ঢাকাগামী কয়েকটি ট্রেন আটকা পড়েছে বলে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি জানান।

পশ্চিম রেলের বিভাগীয় ব্যবস্থাপক (পাকশী) মিজানুর রহমান জানান, সুন্দরবন এক্সপ্রেস সকাল ৮টার পর ঢাকার কমলাপুর স্টেশন ছেড়ে গিয়েছিল।

এই দুর্ঘটনার পর কমলাপুর স্টেশনের মাইকে ঘোষণা দেওয়া হয়, বঙ্গবন্ধুর সেতুর উপর সুন্দরবন এক্সপ্রেস ট্রেন লাইনচ্যুত হওয়ায় উত্তরবঙ্গের সব ট্রেন ঢাকা থেকে ছেড়ে যেতে বিলম্ব হচ্ছে।

এবার ঈদযাত্রার শুরু থেকে পশ্চিম রেলের অর্থাৎ রাজশাহী ও রংপুরগামী ট্রেনগুলো দেরিতে ছাড়ছিল।

যে ট্রেনটি টাঙ্গাইলে লাইনচ্যুত হয়েছে, সেই সুন্দরবন এক্সপ্রেসের সকাল ৬টা ২০ মিনিটে ঢাকা ছাড়ার কথা ছিল। কিন্তু এটি ২ ঘণ্টা ৩৮ মিনিট দেরিতে কমলাপুর ছাড়ে।

শুক্রবার রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন কমলাপুর স্টেশন পরিদর্শনে গেলে তা নিয়ে তিনি যাত্রীদের প্রশ্নের মুখে পড়েন।

দেরির জন্য বঙ্গবন্ধু সেতুকে কারণ দেখিয়ে তিনি বলেছিলেন, “এই সেতু দিয়ে প্রতিটি ট্রেন অতিক্রম করতে ৩০/৪০ মিনিট সময় লাগে, প্রতিদিন ৩২টি ট্রেন এর উপর দিয়ে চলাচল করে থাকে। সেই হিসেবে ট্রেনের সময় সূচি আর ঠিক রাখা যাচ্ছে না।”

এখন সুন্দরবন এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় পড়ার কারণে ওই অঞ্চলের প্রতিটি ট্রেনের যাত্রা পিছিয়ে যাওয়ায় ঈদযাত্রীদের দুর্ভোগ চরমে উঠবে।