একইসঙ্গে তার পাঁচ সহযোগীকে কারাফটকে দুইদিন জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দিয়েছে আদালত।
বৃহস্পতিবার নারায়ণগঞ্জের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম কাউসার আলম এ আদেশ দেন।
ইমাম ফজলুর রহমানের সহযোগীরা হলেন গিয়াস উদ্দিন, হাবিব-এ-এলাহী ওরফে হবি, রমজান আলী, মোতাহার হোসেন ও শরীফ হোসেন।
নারায়ণগঞ্জ আদালত পুলিশের পরিদর্শক আব্দুল হাই বলেন, সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন জানালে আদালত তাদের পাঁচদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে।
গত সোমবার এক শিশু মাদ্রাসাছাত্রীকে নিয়ে তার বাবা শহরের চাঁদমারী বায়তুল হাফেজ জামে মসজিদের ইমাম ফজলুর রহমানের কাছে যান। ফজলুর রহমান শিশুর বাবাকে আগরবাতি ও মোমবাতি আনতে পাঠিয়ে দিয়ে শিশুর দুই হাত বেঁধে এবং মুখ টেপ মেরে তাকে ধর্ষণ করেন।
শিশুটি বিষয়টি তার পরিবারকে জানায় এবং ধীরে ধীরে সে অসুস্থ হয়ে পড়ে। মসজিদ কমিটির কাছে বিচার চাইতে গিয়ে হেনস্তার শিকার হন তার পরিবারের সদস্যরা। এরপর মেয়েটিকে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হলে সেখানেও কয়েক দফা হামলা চালায় ইমাম ও তার অনুসীরা। পরে শিশুর বাবা নার্সের বোরকা পরে হাসপাতাল থেকে পালিয়ে সিদ্ধিরগঞ্জের আদমজীতে র্যাবকে জানায়। অভিযোগের ভিত্তিতে র্যাব অভিযান চালিয়ে মসজিদের ইমাম ও তার ৫ অনুসারীকে গ্রেপ্তার করে।
এই ঘটনায় ওই শিশুর বাবা বাদী হয়ে ইমাম ফজলুর রহমানকে আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে ফতুল্লা মডেল থানায় মামলা দায়ের করেছেন। ইমামকে বাঁচানোর চেষ্টার অভিযোগে তার পাঁচ সহযোগীকেও আসামি করা হয়েছে।