নির্যাতিতা ওই নারী বৃহস্পতিবার জামালপুর প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে নিজের ও পরিবারের নিরাপত্তার দাবি জানান।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে ওই নারী বলেন, ২০১৪ সালের ১১ জুলাই পারিবারিকভাবে তার বিয়ে হয় মাদারগঞ্জ পৌরসভার বালিজুড়ি পশ্চিমপাড়ার টগরু ফকিরের ছেলে মাজেদ ফকিরের সঙ্গে।
বিয়ের পর নানাভাবে শ্বশুরবাড়ির লোকজন তার পরিবারের কাছে যৌতুক নিয়ে আসছিল। তার স্বামী থাকতেন প্রবাসে। সম্প্রতি তিনি দেশে আসেন।
সর্বশেষ গত ৭ জুন তার ৩ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে না পেয়ে এই নারীকে স্বামী মাজেদ ফকির ও তার লোকজন ঘরের খাটের সঙ্গে বেঁধে নির্যাতন করেন। এরপর মেরে ফেলার ভয় দেখিয়ে সাদা কাগজে স্বাক্ষর নিয়ে তাড়িয়ে দেন।
এরপর এই নারী বাবার বাড়ি চলে যান এবং গত ২০ জুন স্বামী মাজেদ ফকিরের বিরুদ্ধে আদালতে যৌতুক নিরোধ আইনে মামলা করেন।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরও বলেন, মামলার পর গত ২৫ জুন ওই নারীকে সন্তানের সঙ্গে দেখা করানোর কথা বলে স্বামী তাদের বাড়িতে ডেকে নেন এবং গাছের সঙ্গে বেঁধে নির্যাতর করেন। “নির্যাতনের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে টেলিভিশন ও সংবাদপত্রে খবর প্রকাশ হয়। পরে পুলিশ মাজেদ ফকির তার বাবা টগরু ফকিরসহ ৫ জনকে আটক করে।”
স্থানীয় লোকজন ওই নারীকে উদ্ধার করে মাদারগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
হাসপাতালে থাকা অবস্থায় পুলিশ তাকে দিয়ে পরে মাদারগঞ্জ থানায় মামলা করায়।
ওই নারীর অভিযোগ, গ্রেপ্তাররা জেল হাজত থেকে গত ৫ জুলাই জামিনে মুক্ত হন। জামিন পাওয়ার পরদিন ৬ জুলাই তার বাবার বাড়িতে যায় এবং তাকে তুলে নিয়ে ধর্ষণ ও হত্যার হুমকি দেয়।
নির্যাতিতা এই নারী তার নিজের ও পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে মেয়েটির বাবাসহ পরিবারের অন্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
মাদারগঞ্জ থানার ওসি রফিকুল ইসলঅম বলেন, ওই নারী বৃহস্পতিবার বিকালে থানায় যান। অভিযোগ তদন্ত করে সত্যতা পাওয়া গেলে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।