কিশোরগঞ্জে চলন্ত বাসে নার্সকে ধর্ষণ ও হত্যায় অভিযোগপত্র

কিশোরগঞ্জে চলন্ত বাসে এক নার্সকে দলবেঁধে ধর্ষণের পর হত্যার মামলায় নয়জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দিয়েছে পুলিশ।

কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 8 August 2019, 01:36 PM
Updated : 8 August 2019, 01:36 PM

বৃহস্পতিবার এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বাজিতপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সারোয়ার জাহান কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত মুখ্য বিচারিক হাকিম আল মামুনের আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

আসামিরা হলেন স্বর্ণলতা বাসের চালক নুরুজ্জামান নূরু, চালকের সহকারী লালন মিয়া, বাস মালিক আল মামুন, রফিকুল ইসলাম রফিক, খোকন মিয়া, বকুল মিয়া, বোরহান উদ্দিন, আল আমিন ও স্বর্ণলতা পরিবহনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক পারভেজ সরকার পাভেল। এদের মধ্যে শেষের তিনজন পলাতক রয়েছেন।

গত ৬ মে রাতে ঢাকা থেকে স্বর্ণলতা পরিবহনের একটি বাসে কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে গ্রামের বাড়ি যাওয়ার পথে ধর্ষণ ও হত্যার শিকার হন ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালের এই নার্স।

এ ব্যাপারে কিশোরগঞ্জের পুলিশ সুপার মাশরুকুর রহমান খালেদ বলেন, বাসের চালক নুরুজ্জামান নূরু, তার খালাত ভাই বোরহান ও বাসের হেলপার লালন মিয়া ধর্ষণ ও হত্যার সঙ্গে সরাসরি জড়িত। তাকে বাসের ভেতর দলবেঁধে ধর্ষণের পর বাস থেকে ফেলে হত্যা করা হয়। মাথায় প্রচণ্ড আঘাতে তার মৃত্যু হয়। পরে তার মরদেহ কটিয়াদী হাসপাতালে ফেলে পালিয়ে যায় আসামিরা।

অন্য ছয় আসামি ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় সহযোগিতা করেন বলে অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে।

পলাতক বোরহান উদ্দিনসহ অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ সুপার।

মামলার নথি থেকে জানা যায়, গত ৬ মে রাতে ঢাকা থেকে স্বর্ণলতা পরিবহনের একটি বাসে কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে গ্রামের বাড়ি যাচ্ছিলেন ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালের এই জ্যেষ্ঠ নার্স। তাকে বহনকারী স্বর্ণলতা পরিবহনের বাসটি কটিয়াদী বাসস্ট্যান্ডে আসার পর বাসের অন্য যাত্রীরা নেমে যায়। কটিয়াদী থেকে বাজিতপুর উপজেলার পিরিজপুর বাসস্ট্যান্ডে যাওয়ার পথে গজারিয়া বিলপাড় এলাকায় বাসের চালক ও সহকারীরা তাকে ধর্ষণের পর হত্যা করে। পরে মরদেহ কটিয়াদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রেখে পালিয়ে যায়।

এ ঘটনায় নিহতের বাবা বাদী হয়ে ওইদিন রাতেই বাসের চালক নুরুজ্জামান নূরু, সহকারী লালন মিয়া, আল আমিন ও আল মামুন এ চারজনের নামে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে বাজিতপুর থানায় একটি মামলা করেন।

এদের মধ্যে তিনজন ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন।