পুলিশ বলছে, দুই ডাকাত দলের দ্বন্ধের জেরে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।
জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইকবাল জানান, বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে টেকনাফ সদর ইউনিয়নের নাইট্যং পাহাড়ের গহীন এলাকা থেকে লাশ উদ্ধার করা হয়।
নিহতরা হলেন ওই এলাকার আব্দুল হাকিমের স্ত্রী রুবিনা আক্তার (৪০) ও ভাই কবির আহমদ (৩৮)।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইকবাল বলেন, “নাইট্যং পাহাড়ের গহীন এলাকায় এক নারীসহ দুই জনের গুলিবিদ্ধ লাশ পড়ে থাকার খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে তা উদ্ধার করে।”
পরে তাদের ‘শীর্ষ রোহিঙ্গা ডাকাত’ ‘আব্দুল হাকিমের স্ত্রী ও বলে সনাক্ত করা হয় বলে এ পুলিশ কর্মকর্তা জানান।
তিনি বলেন, গত ২০ বছর আগে আব্দুল হাকিমের পরিবার মিয়ানমার থেকে পালিয়ে টেকনাফের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আশ্রয় নেয়। পরে সে পরিবারসহ নাইট্যং পাহাড়ের গহীন এলাকায় আস্তানা গড়ে বসবাস শুরু করে। সেখান থেকে সে সংঘবদ্ধ ডাকাতদলের নেতৃত্ব দিয়ে আসছে।
আব্দুল হাকিমের বিরুদ্ধে নয়াপাড়া শরণার্থী শিবিরের আনসার ক্যাম্প লুটসহ ডাকাতি, অপহরণ, হত্যা, মাদকপাচার ও মানবপাচারসহ নানা অপরাধে জড়িত অভিযোগে টেকনাফ থানায় দুই ডজনেরও বেশি মামলা রয়েছে বলে জানান ওসি।
তিনি বলেন, “দুই ডাকাত দলের দ্বন্দ্বের জেরে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।”
লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।