নোয়াখালী আদালতের নাজির সকালে গ্রেপ্তার বিকালে মুক্ত

দুর্নীতি ও মানি লন্ডারিংয়ের দুটি মামলায় সকালে গ্রেপ্তার হওয়ার কয়েকঘণ্টার মধ্যে জামিনে মুক্ত হয়েছেন নোয়াখালী জেলা জজ আদালতের নাজির মোহাম্মদ আলমগীর।

নোয়াখালী প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 5 August 2019, 03:34 PM
Updated : 5 August 2019, 03:34 PM

সোমবার সকাল ৮টা ৪৫ মিনিটে জেলা শহর মাইজদীর কৃষ্ণরামপুরের নিজ বাসা থেকে আলমগীরকে গ্রেপ্তার করে দুদকের একটি দল।

এ সময় তার কাছ থেকে একটি কথিত চোরাই মোটরসাইকেলও উদ্ধার করা হয়।  

বিকাল ৩টায় তাকে জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ ছালেহ্ উদ্দিন আহমদের আদালতে হাজির করা হয়।

শুনানী শেষে তাকে অন্তর্বতীকালীন জামিন দেওয়া হয়।

এ সময় দুদকের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন আবুল কাশেম। আসামিপক্ষে জামিন শুনানি করেন আইনজীবী মোল্লা হাবিবুর রাসুল মামুন।

দুদকের আইনজীবী আবুল কাশেম বলেন, বিজ্ঞ আদালত চাইলে যে কাউকেই জামিন দিতে পারেন। এটা আদালতের একান্ত বিবেচনার বিষয়।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় নোয়াখালীর সহকারী পরিচালক সুবেল আহমেদ বলেন, দুর্নীতির অভিযোগে মোহাম্মদ আলমগীরের বিরুদ্ধে ২০১৮ সালের ২৩ নভেম্বর থেকে তদন্ত শুর করে দুদক। দীর্ঘ তদন্ত শেষে তার বিরুদ্ধে অবৈধভাবে ৭ কোটি ১৭ লাখ ৩৫ হাজার ৬২৫ টাকার সম্পদ অর্জন, সরকারি চাকরিতে কর্মরত থাকা সত্বেও নিজের দাপ্তরিক পরিচয় গোপন করে পেশা ব্যবসা দেখিয়ে ন্যাশনাল ব্যাংক মাইজদী কোর্ট শাখায় মেসার্স ঐশী ট্রেডার্স নামে চলতি হিসাব নং ০৫৭২১০১০০০০৭৬৮৮ এবং সিসি ঋণ হিসাব নম্বর ১১০৫০০১১২২৯৭৩; ইউসিবিএল, মাইজদী কোর্ট শাখায় চলতি হিসাব নম্বর ০৫৭২১০১০০০০৭৬৮৮; ডাচ্ বাংলা ব্যাংক মাইজদী কোর্ট শাখার চলতি হিসাব নং ২৫০১১০২২৬১; ওয়ান ব্যাংক মাইজদী কোর্ট শাখায় চলতি হিসাব নং ০৩৮০৩৪১৯২৫০০২ খোলেন।

“হিসাবগুলোতে ২০১০ সাল থেকে গত ৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ২৭ কোটি ৮২ লাখ ৭২ হাজার ৯৬৬ টাকা লেনদেনের প্রমাণ পাওয়া যায়। এছাড়াও তিনি বেশ কয়েকবার বিদেশ ভ্রমণসহ নানা জালিয়াতির সঙ্গে জড়িয়ে পড়ারও প্রমাণ পাওয়া যায়।”

এসব কাজে তার স্ত্রী বিচারিক হাকিম আদালতের নাজির নাজমুন নাহার, বোন আফরোজা আক্তার ও বন্ধু বিজন ভৌমিক তাকে সহায়তা করেছেন বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়।

জামিনপ্রাপ্ত আসামি মোহাম্মদ আলমীগর ফেনী জেলার দাগনভুঁঞা উপজেলার হীরাপুর গ্রামের আবদুল মান্নানের ছেলে। তিনি ১৯৯৭ সালে স্টেনোগ্রাফার হিসেবে নোয়াখালী ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে যোগদান করেন। বিভিন্ন সময় পদন্নতি পেয়ে তিনি নাজির হন।