এক রাতে দুই জেলায় ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত ৩

ময়মনসিংহ ও হবিগঞ্জে পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধের তিন ঘটনায় তিনজন নিহত হয়েছেন।

হবিগঞ্জ প্রতিনিধিময়মনসিংহ ওবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 5 August 2019, 04:55 AM
Updated : 5 August 2019, 04:57 AM

এর মধ্যে ময়মনসিংহ শহরের চর পুলিয়ামারিতে নিহত জনি মিয়ার (২৬) বিরুদ্ধে মাদক আইনের মামলা রয়েছে থানায়।

ফুলবাড়িয়া উপজেলার কালাদহ ঈদগাহ এলাকায় নিহত জহিরুল ইসলাম (২০) ধর্ষণ মামলার আসামি।

আর হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার ডেউয়াতলি কালিনগর এলাকায় সুলাইমান মিয়া (৩৫) একজন ডাকাত সর্দার বলে পুলিশের ভাষ্য।

পুলিশ কর্মকর্তারা বলছেন, রোববার রাত পৌনে ১টা থেকে ৩টার মধ্যে গোলাগুলির এসব ঘটনা ঘটে।

আমাদের জেলা প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর-

ময়মনসিংহ

ময়মনসিংহ জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ওসি শাহ কামাল হোসেন আকন্দ বলেন, একদল মাদক চোরাকারবারি চর পুলিয়ামারি এলাকায় জড়ো হয়েছে খবর পেয়ে রাত সোয়া ১২ টার দিকে সেখানে অভিযানে যায় ডিবি পুলিশের একটি দল।

“পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে গুলি ছোড়ে মাদক ব্যবসায়ীরা। পুলিশও আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি ছোড়ে। এক পর্যায়ে মাদক ব্যবসায়ী জনি মিয়াকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় আটক করে পুলিশ।”

পরে তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে বলে জানান ওসি। 

নিহত জনি ময়মনসিংহ শহরের পাটগুদাম এলাকার মো. জয়নাল আবেদীনের ছেলে। তার বিরুদ্ধে মাদক চোরাচালান, ডাকাতি, ছিনতাইসহ বিভিন্ন অভিযোগে ১১টি মামলা রয়েছে।

এ অভিযানে দুই পুলিশ সদস্যও সামান্য আহত হয়েছেন এবং ঘটনাস্থল থেকে হেরোইন, ইয়াবা ও একটি ছুরি উদ্ধার করা হয়েছে বলে ওসি শাহ কামালের ভাষ্য।

অন্যদিকে ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়ায় নিহত জহিরুল ইসলালের (২০) বাড়ি উপজেলার কৈয়ারচালা এলাকায়। এক তরুণীকে ধর্ষণের মামলার অন্যতম আসামি ছিলেন তিনি।

ওসি বলেন, গত ৩ অগাস্ট ফুলবাড়িয়া উপজেলার পলাশতলী এলাকায় এক তরুণীকে ধর্ষণ করে তিন বখাটে। রোববার তাদের বিরুদ্ধে মামলা করেন ওই তরুণী।

“আসামিদের ধরতে রাতে ফুলবাড়িয়া কালাদহ ঈদগাহ এলাকায় অভিযানে যায় গোয়েন্দা পুলিশ। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে গুড়ি ছোড়ে আসামিরা। পুলিশও তখন আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি ছোড়ে। এক পর্যায়ে জহিরুল গুলিবিদ্ধ হন।

গুলিবিদ্ধ অবস্থায় জহিরুলকে ময়মনসিংহ মেডিকেলে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন বলে জানান ওসি।

হবিগঞ্জে পুলিশের সাথে বন্দুক যুদ্ধে ডাকাত সর্দার নিহত, ৪ পুলিশ সদস্য আহত

হবিগঞ্জ

হবিগঞ্জের চুনারুঘাটে কথিত বন্দুকযুদ্ধে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন, যিনি একটি ডাকাত দলের সর্দার বলে পুলিশের ভাষ্য।

নিহত সুলাইমান মিয়ার (৩৫) বাড়ি মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়া এলাকায়।

চুনারুঘাট থানার ওসি শেখ নাজমুল হক জানান, উপজেলার ডেউয়াতলি কালিনগর এলাকায় একদল ডাকাতের উপস্থিতির খবর পোয়ে রাত ৩টার দিকে সেখানে অভিযানে যায় পুলিশ।  

“পুলিশ সেখানে পৌঁছানো মাত্র ডাকাতদল গুলি করে। আত্মরক্ষার্থে পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। তাতে এক ডাকাত গুলিবিদ্ধ হয়।”

পরে তাকে জেলা সদর আধুনিক হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন বলে জানান ওসি।

তিনি বলেন, ঘটনাস্থল থেকে একটি পিস্তল, রামদাসহ বেশ কিছু দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় চার পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। তাদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।