নীলফামারীতে এগারো দিনে ডেঙ্গু শনাক্ত ৩১

নীলফামারীতে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বাড়ছে।

নীলফামারী প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 4 August 2019, 06:11 PM
Updated : 4 August 2019, 06:11 PM

রোববারও সদর আধুনিক হাসপাতালে দুইজন ভর্তি হয়েছে।

এ নিয়ে ওই হাসপাতালে ভর্তি হওয়া রোগীর সংখ্যা হলো নয়।  তারা সবাই ঢাকায় আক্রান্ত হয়ে বাড়ি এসে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন।

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, জেলা শহরের পুরাতন স্টেশনপাড়ার মহসিন আলী (১৮) ও সবুজপাড়ার লিখন (১৮) নামের দুই যুবক ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে রোববার হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।

এছাড়া জেলা সদরের লক্ষ্মীচাপ ইউনিয়নের লক্ষ্মীচাপ গ্রামের রায়হান ইসলাম (১৭), ডোমার উপজেলার সোনারায় ইউনিয়নের বড়গাছা গ্রামের হরিদাস রায় (৩০), জেলা সদরের চওড়াবড়গাছা ইউনিয়নের কিসামত দলুয়া গ্রামের সুজন রায়ও (১৬) চিকিৎসাধীন আছেন। 

কর্তৃপক্ষ আরও জানায়, এর আগে গত শনিবার সকালে ডোমারের সোনারায় ইউনিয়নের দোলাপাড়া গ্রামের রিয়াজুল ইসলাম (২৫), শুক্রবার (২ অগাস্ট) বিকালে জেলা শহরের গাছবাড়ি এলাকার আব্দুল লতিফ (৪৫), ৩১ জুলাই জেলা সদরের চড়াইখোলা ইউনিয়নের পশ্চিম কুচিয়ার মোড় গ্রামের পরিতোষ রায়কে (২৮) রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

চিকিৎসকরা জানান, চিকিৎসায় সুস্থ হয়ে গত ৩১ জুলাই বাড়ি ফিরেছেন জেলা সদরের রামনগর ইউনিয়নের দোলাপাড়া গ্রামের আব্দুর রহিম (২৪)।

নীলফামারী সদর আধুনিক হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা আবু শফি মাহমুদ জানান, গত ২৫ জুলাই থেকে ডেঙ্গু রোগী আসা শুরু হয় নীলফামারী সদর আধুনিক হাসপাতালে। সেদিন ভর্তি হয় আব্দুর রহিম ও পরিতোষ রায়। ৩০ জুলাই আব্দুল লতিফ, ৩১ জুলাই হরিদাস, সুজন ও রিয়াজুল ভর্তি হয়। শনিবার সকালে (৩ অগাস্ট) ভর্তি হন রায়হান।

ডোমার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা রায়হান বারি বলেন, ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ডোমার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দুই দিনে ভর্তি হয়েছে তিন জন। তাদের মধ্যে জলঢাকা উপজেলার ধর্মপাল ইউনিয়নের গড়ধর্মপাল গ্রামের সাহাবুল ইসলাম (২২), ডোমার পৌরসভার চিকনমাটি গ্রামের মাহাবুল ইসলামকে (১৯) গত শনিবার এবং ডোমার উপজেলার বোড়াগাড়ি ইউনিয়নের মিস্ত্রিপাড়া গ্রামের জ্যোতিষ রায়কে (২০) রোববার রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

“তারা সবাই ঢাকায় আক্রান্ত হয়ে এলাকায় ফিরেছেন।”

সিভিল সার্জন রনজিৎ কুমার বর্মন বলেন, রোববার পর্যন্ত জেলায় ৩১ জন ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়েছে। তারা সবাই ঢাকায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে এলাকায় এসেছে। তাদের মধ্যে কেউ হাসপাতালে, কেউ বাড়িতে চিকিৎসা নিচ্ছে, কেউ সুস্থ হয়েছে, আবার অনেকে জেলার বাইরের হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে।

তিনি বলেন, নীলফামারী আধুনিক সদর হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগের পরীক্ষা-নিরীক্ষা এবং চিকিৎসার কোনো সমস্যা নেই। ডেঙ্গু যাতে না ছড়ায় সে ব্যাপারে জনগণকে সচেতন করা হচ্ছে। স্বাস্থ্যকর্মীরা মাঠে কাজ করছেন। সচেতনতামূলক মাইকিং করা হচ্ছে। জ্বর হলে সরকারি হাসপাতালে আসার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।