টাঙ্গাইলে মোজাম্মেলের স্বপ্নের খামারের গল্প

টাঙ্গাইলের ঘটাইলের মোজাম্মেল হোসেনের ছোটবেলা থেকে স্বপ্ন ছিল দেশীয় গরুর খামার তৈরির;অদম্য ইচ্ছা শক্তি আর কঠোর পরিশ্রমে ভরে উঠেছে তার খামার।

টাঙ্গাইল প্রতিনিধিএম এ রাজ্জাক, বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 4 August 2019, 05:54 AM
Updated : 4 August 2019, 06:07 AM

স্বপ্ন পূরেণের লক্ষ্যে দড়ি চৈথট্ট গ্রামের মোজাম্মেল ২০০৮ সালে মাত্র দুইটি গরু দিয়ে খামার শুরু করেন। দশ বছরের তার খামারে গরুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫২টি।

এসএসসি পাশ করার পর পড়াশোনায় বেশিদূর যাওয়া হয়নি মোজাম্মেলের। ছাত্রজীবনে লেখাপড়ার পাশাপাশি বিভিন্ন জাতের গাছের নার্সারি ও হাস-মুরগী, ছাগল ও কবুতর পালন করতেন। এসব থেকে যা লাভ হয় তা জমাতে শুরু করেন। স্বপ্ন একটাই গরুর খামার করা।

সেই খামারের বায়ান্নটির সবগুলো ষাড় গরু। মোটতাজা করে প্রতি ছয় মাস পরপর তিনি গরু বিক্রি করেন। সেই টাকা দিয়ে আবার গরু কিনেন। এভাবেই বাড়তে থাকে খামারে গরুর সংখ্যা।

সবগুলো গরু এ বছরের কোরবানি ঈদের জন্য প্রস্তুত করেছেন বলে মোজাম্মেল জানালেন।

তিনি বলেন, চারজন শ্রমিক আর তিনি খামারের দেখভাল করেন। ছোট সময় থেকেই তার ইচ্ছা ছিল নিজে কোথাও চাকরি করবেন না, অন্যকে নিজের প্রতিষ্ঠানে চাকুরি দিবেন। সেই স্বপ্নও আজ পূরণের পথে।

মোজাম্মেল বলেন, “খামারে থাকা ৫২টি গরু বিভিন্ন দামে প্রায় ৫০ লাখ টাকা বিক্রি করতে পারবেন। এক লাখ টাকার উপরে হবে এমন ষাঁড়ও আছে।”

বাজার ভালো থাকরে আর সব গরু বিক্রি করতে পারলে খরচ বাদে প্রায় ১০ লাখ টাকার মতো লাভ হওয়ার সম্ভাবনার কথা জানালেন এ খামারী।

প্রাকৃতিক খাবার দিয়েই তিনি দেশী গরু মোটাতাজা করেন মোজাম্মেল। এ জন্য তার গ্রামের পাশেই ক্যান্টনমেন্টের ভিতরের অনাবাদী জমির ঘাস লিজ নিয়েছেন। বছরে ইজারা বাবদ এক লাখ দশ হাজার টাকা খরচ হয় তার।

মোজাম্মেল বলেন, ঈদের পর ষাঁড় গরুর পাশাপাশি  বানিজ্যিকভাবে দুধ উৎপাদনের জন্য খামারে গাভি উঠানো হবে। ভবিষ্যতে তিনশ গরু থাকবে এমন খামার করার কথা ভাবছেন। যেখানে কাজ করবে প্রায় ২০ জন শ্রমিক।

এতে করে এলাকার এলাকার কিছুটা হলেও বেকার সমস্যা দূর হবে বলে মনে করেন তিনি।

উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মো. মান্নান বলেন, “উপজেলায় মোজাম্মেল হোসেনের খামারটিই সবচেয়ে বড়। তিনি স্বাভাবিক খাবার খাইয়ে গরুগুলোকে মোটাতাজা করেছেন। আমারা তার খামার নিয়মিত দেখাশোনা করছি এবং খোঁজ খবর নিচ্ছি।”