নাব্যসংকটে শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ি ফেরি চলাচল বিঘ্নিত

নাব্য সংকটের কারণে শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ি নৌরুট দিয়ে ছয় ঘণ্টা ফেরি চলাচল বন্ধ থাকর পর সীমিত আকারে শুরু হয়েছে: ১৮টি ফেরির মধ্যে নয়টি দিয়ে পারাপার করানো হচ্ছে।

মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 1 August 2019, 08:56 AM
Updated : 1 August 2019, 09:09 AM

এদিকে পারাপার ব্যাহত হওয়ায় শিমুলিয়া ঘাটে গাড়ির জট তৈরি হয়েছে; কর্তৃপক্ষ বলছে, প্রায় সাড়ে চারশ যান পারাপারের অপেক্ষায় রয়েছে।

বিআইডব্লিউটিসির সহকারী মহা ব্যবস্থাপক মো. নসির উদ্দিন জানান, নাব্য সংকটের কারণে দেশের ২১ জেলার চলাচলের গুরুত্বপূর্ণ এই নৌরুট বুধবার রাত ১১টা ৫৫ মিনিটে বন্ধ হয়ে যায়। ভোর ৬টা থেকে ফেরি চলাচল আবার শুরু হয়।

তিনি বলেন, “এর আগে বুধবার রাত ১১টার দিকে রো রো ফেরি এনায়েতপুরী শিমুলিয়া ঘাট থেকে ছেড়ে গিয়ে লৌহজং টার্নিং পয়েন্টের ডাউন মুখে ডুবো চরে আটকে যায়। রাতভর চেষ্টার পর বৃহস্পতিবার ভোর ৬টায় ফেরিটি উদ্ধার করা হয়। এছাড়া গত পরশু লৌহজং টার্নিং পয়েন্টের মুখের আপ চ্যানেলটিও নাব্য সংকটের কারণে বন্ধ হয়ে যায়।

“এখন ১৮টি ফেরির মধ্যে নয়টি দিয়ে সার্ভিস সচল রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে। তবে সেগুলো খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলছে।”

পদ্মায় তীব্র স্রোত আর নাব্য সংকটের কারণে বেশ কয়েকদিন ধরেই এ রুটে  ফেরি চলাচল মারাত্মক ব্যাহত হচ্ছে বলে নাসির জানান।

তিনি বলেন “ফেরি কখনও চলছে, কখনও বন্ধ থাকছে, কখনও ফেরি ডুবোচরে আটকা পড়ছে। আবার স্রোতের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে সব ফেরি চলতে পারছে না।”

এ দিকে ফেরি  চলাচল ব্যাহত হওয়ার কারণে শিমুলিয়া ঘাটে আটকা পড়েছে প্রায় সাড়ে প্রায় চারশ যান আটকা পড়েছে বলে বিআইডব্লিউটিসির এ কর্মকর্তা জানান।

তিনি বলেন, পদ্মায় পলি পড়ে নাব্য সংকট সৃষ্টি হওয়ায় ফেরিগুলো চলতে পারছে না। ফেরি চলাচলের জন্য পর্যাপ্ত গভীরতা নেই এই নৌরুটে। লৌহজং টার্নিং পয়েন্টের ডাউন চ্যানেলের মুখে নাব্য সংকট দেখা দেওয়ায় ফেরিগুলো চ্যানেল পারি দিতে পারছেনা।

“লৌহজং টার্নিং পয়েন্টের মুখে আসলেই নাব্য সংকটের কারণে ফেরিগুলো ডুবো চরে আটকে যাচ্ছে। নাব্য সংকট নিরসনে পাঁচটা ড্রেজার দিয়ে পলি অপসারণ করা হচ্ছে। বৃহস্পতিবার সকালে লৌহজং টার্নিং পয়েন্টের ভাটিতে বিকল্প চ্যানেলটি ড্রেজিং শেষে খুলে দেওয়া হয়েছে।এখন ওই  চ্যানেলটি দিয়েই পরীক্ষামূলক ভাবে এখন ফেরি চলাচল শুরু হয়েছে।”

 তবে এ নৌরুটে ফেরি পারাপারে আগের চাইতে বেশি সময় লাগবে বলে নাসির জানান।

মাওয়া ট্রাফিক জোনের টিআই হিলাল উদ্দিন বলেন, বেশ কিছু দিন ধরে ফেরি চলাচল বিঘ্নিত হওয়ায় ঘাটে পারাপারের অপেক্ষা শতাধিক গাড়ি জমে গেছে। বুধবার রাত থেকে ফেরি চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় এ যানজট আরো দীর্ঘায়িত হচ্ছে। এতে যাত্রীদের দুর্ভোগ বেড়েছে।