এদিকে, নওগাঁ সদর হাসপাতালে ডেঙ্গু পরীক্ষার ব্যবস্থা নেই বলে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।
নওগাঁ সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক রওশন আরা খানম বলেন, এই হাসপাতালে ডেঙ্গু পরীক্ষার ডিভাইস নেই। ডিভাইস আনতে ঢাকায় লোক পাঠানো হয়েছে।
তিনি আগামী ঈদে ঢাকা থেকে আসা লোকজনের মাধ্যমে জেলায় ডেঙ্গু ছড়িয়ে পড়ার শঙ্কা ব্যক্ত করেন।
এ ব্যাপারে সিভিল সার্জন বলেন, ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা বাসগুলোতে এডিস মশা নিধনকারি স্প্রে করলে জেলায় এডিস মশা আসা ঠেকানো যাবে।
সদর হাসপাতালে ৯ ডেঙ্গু রোগী
নওগাঁ সদর হাসপাতালে মঙ্গলবার পাঁচ জনসহ গত চারদিনে নয় ডেঙ্গুরোগী ভর্তি হয়েছেন। এদের মধ্যে তিনজনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। দুইজন নারী নওগাঁ শহরে তাদের নিজ বাসভবনে থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন। চার জন সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
ডা. রওশন আরা খানম বলেন, ডেঙ্গু আক্রান্ত নয় রোগীর আটজনই ঢাকা থেকে জ্বর নিয়ে নওগাঁ আসেন। একজন নওগাঁতেই আক্রান্ত হয়েছেন।
জেলায় ডেঙ্গু আক্রান্তরা হলেন মহাদেবপুর উপজেলা সদরের মোরশেদ আলী (৩৪), পত্নীতলার জুটুবটি গ্রামের সিহাব উদ্দিন (৩০), সদরের তিলকপুর গ্রামের সুখিবানু (২২) ও সদরের চকদেবপাড়ার সাংবাদিক শেখ আনোয়ার হোসেনের স্ত্রী হোসনে আরা (৪২), মহাদেবপুরের মুঘইল গ্রামের ইঞ্জিনিয়ার আতিকুর রহমান (২৩), রানীনগরের আবাদপুকুর গ্রামের কলেজছাত্র মেহেদী হাসান (২১), সদর উপজেলার চাকলা কালুপাড়া গ্রামের বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রী সিফাইত জাহান (২২), মান্দার তুরাগবাড়িয়া গ্রামের লাইলী বেগম (৩৫) ও নওগাঁ সদর উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ও হাটনওগাঁর বাসিন্দা ইয়াসির আরাফাত সবুজের স্ত্রী মোছা. সাবিহা (২২)।
এদের মধ্যে মোরশেদ, সিহাব ও সুখিকে গত ২৮ জুলাই রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। অপর ৬ জনকে মঙ্গলবার নওগাঁ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এদের মধ্যে হোসনে আরা ও সাবিহা তাদের নিজ বাসভবনে থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
নওগাঁর প্রবীণ সাংবাদিক ও আইনজীবী শেখ আনোয়ার হোসেন বলেন, নওগাঁ হাসপাতালে ডেঙ্গু পরীক্ষার ব্যবস্থা না থাকায় বাধ্য হয়ে তিনি তার স্ত্রীর ডেঙ্গু পরীক্ষা শহরের একটি বেসরকারি ক্লিনিকে করিয়েছেন।