গাইবান্ধা কৃষি অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক এস এম ফেরদৌস একথা জানান।
সুন্দগঞ্জ উপজেলার রামজীবন ইউনিয়নের ভবানীপুর গ্রামের কৃষক রাজু মিয়া বলেন, “উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা এসএম সরওয়ার হোসেন ও আব্দুর রাজ্জাক মিয়ার কাছ থেকে পরামর্শ নিয়ে আমি দুইটি ভাসমান বীজতলা তৈরি করেছি। প্রতিটি বীজতলায় প্রায় ১০ কেজি করে ধান বপন করা হয়েছে।”
যদি কোনো দুর্যোগ না হয় তাহলে এই বীজ দিয়ে প্রায় দেড় একর জমিতে চারা লাগানো যাবে বলে তিনি জানান।
উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান বলেন, প্রথমে একাধিক কলার গাছ একসঙ্গে সংযুক্ত করতে হবে। তার উপর কুচুরিপানা বিছিয়ে দিতে হয়। এর উপর ৪ থেকে ৫ ইঞ্চি পুরু কাদামাটি বিছিয়ে দিয়ে এই বীজতলা তৈরি করা হয়। সেখানে ছিটানো হয় বীজ ধান।
“এভাবে সুন্দগঞ্জ উপজেলায় প্রায় ২৫টি ভাসমান বীজতলায় ইতিমধ্যে চারা গজিয়েছে।”
সুন্দগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ সৈয়দ রেজা-ই মাহমুদ বলেন, বন্যা মোকাবেলায় কৃষিক্ষেত্রে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। ইতিমধ্যে ভাসমান বীজতলা প্রস্তুত করা হয়েছে। পাশাপাশি মন্ত্রণালয়ের পরামর্শে কমিউনিটি বীজতলা প্রস্তুতির প্রক্রিয়া চলছে।
গাইবান্ধা কৃষি অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক এস এম ফেরদৌস আরও বলেন, “কৃষকের ক্ষতি পোষাতে দ্রুত আমন ধান বীজ সরবরাহ করা হলে আমন উৎপাদন ব্যাহত হবে না। এ কারণে আমরা ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার প্রতিটি ব্লকে ১০ হেক্টর করে আমন বীজতলা স্থাপনের চেষ্টা করছি।”
তিনি আরও জানান, বন্যায় জেলায় নষ্ট হয়ে যাওয়া রোপা আউস ধানের ক্ষেতের পরিমাণ ৩ হাজার ৬১ হেক্টর, পাট ২ হাজার ৩৮৮ হেক্টর, রোপা আমন বীজতলা ৪২৩ হেক্টর, আগাম রোপা আমন ধান ৩১ হেক্টর, শাকসবজি ১ হাজার ১৩৫ হেক্টর, পানবরজ ৩ হেক্টর ও অন্যান্য ফসল ৪৬ হেক্টর।