রোববার ভোররাতে চুনারুঘাট উপজেলার লালচাঁন্দ চা বাগান ডাক বাংলোতে এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন লাল চাঁন্দ চা বাগানের ম্যানেজার মোফাজ্জল হোসেন (৫৫), তার স্ত্রী আফরোজা বেগম (৪৮) ও তাদের কলেজ পড়ুয়া মেয়ে মালিয়া হোসেন (১৮)।
তাদের হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
মোফাজ্জল হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, ভোররাতে ১০/১২ জনের একটি ডাকাত দল বাংলোতে হানা দেয়। ডাকাতরা প্রথমে বাংলোর মূল গেট ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে।
“পরে আমার মেয়েকে অস্ত্র ঠেকিয়ে টাকা-পয়সা ও সোনা-গহনা চায়। বাংলোতে টাকা-পয়সা ও সোনা-গহনা নেই বলতেই ডাকাতরা আমাদের উপর হামলা চালায়।
“তারা আমাকে কুপিয়ে জখম করে। আমাকে বাঁচাতে এগিয়ে আসলে আমার স্ত্রী ও মেয়েকে কুপিয়ে জখম করে।”
ডকাতরা চলে যাওয়ার পর খবর পেয়ে তার এক বন্ধু এসে তাদের উদ্ধার করে হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি করেন বলে তিনি জানান।
ডাকাতদের সকলের হাতে দা ছিল এবং তাদের পরনে হাফ প্যান্ট ও গোল গলার টি-শার্ট ছিল বলেও তিনি জানান।
চুনারুঘাট থানার ওসি শেখ নাজমুল হক বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে এসেছে। এ ব্যাপারে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
প্রবাসীর বাড়িতে ডাকাতি
একই দিন জেলার শায়েস্তাগঞ্জে এক প্রবাসীর বাড়িতে ডাকাতি হয়েছে। তাদের হামলায় দুই জন আহত হয়েছেন।
আহতরা হলেন শফিক মিয়া তালুকদার ও কাউছার মিয়া তালুকদার। তাদের স্থানীয়ভাবে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
শনিবার ভোর রাতে উপজেলার বিরামচর গ্রামের ফ্রান্স প্রবাসী জাকির হোসেনের বাড়িতে এ ডাকাতির ঘটনা ঘটে।
আহত গৃহকর্তা শফিক মিয়া তালুকদার বলেন, ১০ থেকে ১২ দিন আগে ফ্রান্স প্রবাসী তার ভাই জাকির হোসেন ছুটিতে বাড়ি আসেন। ভোর রাতে একদল ডাকাত তাদের বসত ঘরের গ্রিল কেটে ঘরে প্রবেশ করে। এ সময় তিনি ডাকাতদের হানা বুঝতে পেরে একাই তাদেরকে বাধা প্রদান করেন। এতে ডাকাতরা ছুরি ও রামদা দিয়ে তার উপর হামলা চালায়।
ডাকাতরা পরিবারের সদস্যদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে নগদ টাকা, স্বর্ণালংকার, মোবাইল ফোনসহ প্রায় ১০ লক্ষাধিক টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে যায় বলে শফিক মিয়ার অভিযোগ।
শায়েস্তাগঞ্জ থানার ওসি আনিছুজ্জামান বলেন, ডাকাতির খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে কিছু আলামত সংগ্রহ করা হয়েছে। পুলিশ বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করছে।