সানি ওরফে রাজা ও নাজমুল নামে দুইজনের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ করেছেন জেলার শালিখা উপজেলার হরিশপুর গ্রামের গোলাম কিবরিয়া।
তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, গত বছর তার অষ্টম শ্রেণি পড়ুয়া মেয়ে মিতাকে অপহরণ করেন যশোরের চুড়ামনকাঠি এলাকার সানি ও ওরফে রাজা নামে এক ব্যক্তি। এ ঘটনায় তিনি শালিখা থানায় জিডি করলে পুলিশ ১৫-১৬ দিন পর ঢাকার কাফরুল এলাকা থেকে মিতাকে উদ্ধার করে।
তখন পুলিশ নাজমুল ও শাহিদা নামে দুইজনকে আটক করে বলে জানান গোলাম কিবরিয়া।
তিনি বলেন, “সানি আমার মেয়েকে ঢাকায় নিয়ে যৌন ব্যবসায়ী চক্রের কাছে বিক্রি করে দেন। অপহরণের ঘটনায় আমি শালিখা থানায় নারী ও শিশুনির্যাতন দমন আইনে নাজমুল, শাহিদা ও সানির নামে মামলা করি।
“পুলিশ সানিকে আটক করতে পারেনি। এদিকে নাজমুল ও শাহিদা জামিনে মুক্ত হন। তারপর আসামিরা মামলা তুলে নেওয়ার জন্য মোবাইল ফোনে ও বিভিন্ন লোক মারফত আমাকে ও মিতাকে চাপ দিতে থাকেন। এছাড়া মোবাইল ফোনে ও মাঝেমধ্যে এলাকায় এসে সানি ও নাজমুল আমার মেয়েকে উত্ত্যক্ত করতেন। মামলা তুলে না নিলে তাকে ধরে নিয়ে নির্যাতন ও হত্যা করা হবে বলে ভয় দেখাতে থাকেন। এই অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে মিতা বুধবার সকালে স্কুলে গিয়ে বিষ খায়।”
তাকে যশোর সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে তার মৃত্যু হয় জানিয়ে কিবরিয়া বলেন, “বিষ খাওয়ার পর সে বারবার বলতে থাকে, ‘সানি-নাজমুল আমাকে বাঁচতে দিল না’।”
ময়নাতদন্ত শেষে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তার দাফন হয় বলে জানান গোলাম কিবরিয়া।
এ বিষয়ে শালিখা থানার ওসি তরিকুল ইসলাম বলেন, “স্কুলছাত্রী মিতার আত্মহত্যার বিয়ষটি আমি শুনেছি। পরিবার অভিযোগ দিলে আইনগত ব্যবস্থা নেব।”
কিন্তু গোলাম কিবরিয়া অভিযোগ দিতে সাহস পাচ্ছেন না।
এলাকাসী জানান, সাংবাদিকদের কাছে মেয়ের মৃত্যুর তথ্য দেওয়ায় আসামিদের হুমকিতে কিবরিয়া এখন আর কারও সঙ্গে কথা বলতেও সাহস পাচ্ছেন না।
এলাকাবাসীর কাছে এমন অভিযোগ পেয়ে কিবরিয়ার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করে তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া গেছে।