মিন্নির বাবা-মাকে গ্রেপ্তারের দাবি রিফাতের বাবার

বরগুনায় শাহনেওয়াজ রিফাত শরীফকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় তার স্ত্রী আয়শা সিদ্দিকা মিন্নির বাবা-মাকে গ্রেপ্তার করে জিজ্ঞাসাবাদের দাবি জানিয়েছেন রিফাতের বাবা আবদুল হালিম দুলাল শরীফ।

বরগুনা প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 26 July 2019, 11:25 AM
Updated : 26 July 2019, 11:25 AM

শুক্রবার বেলা সাড়ে ১২টায় বরগুনা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই দাবি জানান।

গত ২৬ জুন রিফাতকে প্রকাশ্যে সড়কে কুপিয়ে হত্যার সময় স্বামীকে বাঁচাতে মিন্নির চেষ্টার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর সারাদেশে আলোচনার জন্ম দেয়।

পরদিন রিফাতের বাবা দুলাল শরীফ ১২ জনকে আসামি করে মামলা করেন। তাতে প্রধান সাক্ষী করা হয় মিন্নিকে।

পরে দুলাল শরীফ তার পুত্রবধূ মিন্নির হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগ করেন। মিন্নিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। মিন্নি আদালতে দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দেন।

তবে মিন্নির বাবার অভিযোগ, নির্যাতন করে ও ভয়ভীতি দেখিয়ে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে বাধ্য করেছে পুলিশ। অভিযোগ অস্বীকার করেছেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বরগুনা থানার পরিদর্শক হুমায়ূন কবীর।

এদিকে মিন্নির বাবা মোজাম্মেল হোসেন কিশোর মামলা তদন্তের দায়িত্ব পিবিআইকে দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।

সংবাদ সম্মেলনে রিফাতের বাবা দুলাল শরীফ বলেন, “পিবিআইয়ের মামলা তদন্তের দরকার নেই। মিন্নি ও তার পরিবার প্রতারক। মিন্নিকে বাঁচানোর জন্য তার পরিবার মামলাটি পিবিআইতে নেওয়ার চেষ্টা করছেন। আমি মিন্নির বাবা-মাকে গ্রেপ্তার করে জিজ্ঞাসাবাদের দাবি জানাচ্ছি।”

সংবাদ সম্মেলনে দুলালের বড় ভাই আবদুল আজিজ শরীফ ও আবদুস সালাম শরীফ ছিলেন।

এদিকে শুক্রবরা সকাল ১০টার দিকে জেলা সিভিল সার্জন দপ্তরের চিকিৎসক মো. হাবিবুর রহমান ও উম্মে সোলায়মান তাহিরা বরগুনা কারাগারে গিয়ে হাজতিদের স্বাস্থ্যের খোঁজখবর নিয়েছেন।

হাবিবুর রহমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আয়শা সিদ্দিকা মিন্নি সুস্থ আছেন।”

এ মামলায় এ পর্যন্ত এজাহারভুক্ত সাতজনসহ ১৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তারা সবাই ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। প্রধান আসামি নয়ন বন্ড ২ জুলাই পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছেন। মামলার এজাহারভুক্ত ১২ আসামির মধ্যে এখনও চার জন গ্রেপ্তার হয়নি।