পাবনা সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এবনে মিজান জানান, শহরের অনন্ত বাজার এলাকায় দুইদিন আগের এ ঘটনায় শুক্রবার সকালে হায়দার আলীকে আটক করা হয়।
৩৮ বছর বয়সী হায়দারের বাড়ি শহরের অনন্ত বাজার মহিষের ডিপো এলাকায়।
পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ওই নারী চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
হাসপাতালের স্ত্রী রোগ বিশেষজ্ঞ নার্গিস সুলতানা বলেন, স্বাস্থ্য পরীক্ষায় প্রাথমিকভাবে ধর্ষণের আলামত পাওয়া গেছে।
ঘটনার বর্ণনায় পুলিশ সুপার বলেন, হায়দার আলীর বাড়িতে দুইমাস আগে ২২ বছর বয়সী ওই মেয়ে ও তার ভাই ভাড়া ওঠেন। বুধবার রাতে মেয়েটির ভাই বাড়ি না ফেরার সুযোগে হায়দার ও তার চার বন্ধু মেয়েটির ঘরে যায়।
“পরে মেয়েটিকে তারা অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। পরে বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে তারা বেরিয়ে যাবার সময় এ কথা কাউকে না জানানোর হুমকি দিয়ে যায়।”
রাতে মেয়েটির ভাই বাসায় ফিরে ঘটনা জানতে পারে এবং মেয়েটিকে হাসপাতালে ভর্তি করে বলে জানান এ পুলিশ কর্মকর্তা।
মেয়েটি বলেন, “অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে আমাকে রাতভর নির্যাতন করা হয়। আমি প্রচণ্ড ভয়ে আছি, আমাকে উনারা মেরে ফেলবে বলে হুমকি দিয়েছে।”
পাবনা সদর থানার ওসি ওবায়দুল হক বলেন, মেয়েটির ভাইয়ের মৌখিক অভিযোগের ভিত্তিতে হায়দারকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। তার বন্ধুদের আটকের চেষ্টা করা হচ্ছে।
এ ঘটনায় পাবনা সদর থানায় মামলার প্রক্রিয়া চলছে বলে জানান তিনি।