কোতোয়ালি থানার ওসি মীর জাহেদুল হক রনি জানান, বৃহস্পতিবার সকালে বরগাং এলাকায় কাপ্তাই হ্রদ থেকে তারা লাশ দুটি উদ্ধার করেন।
তারা হলেন জেলা শহরের রিজার্ভ বাজারের ওষুধের দোকানি ছোটন দেওয়ানজির ছেলে প্রান্ত হিমেল (১৮) ও চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলার শিলক এলাকার শহীদ তালুকদারের মেয়ে তাহফিমা খানম তিন্নি (১৮)।
হিমেল ঢাকায় ক্যামব্রিয়ান কলেজে আর তিন্নি রাঙামাটির লেকার্স পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজে পড়তেন। তিন্নি রাঙামাটিতে আত্মীয়র বাসায় থেকে পড়াশুনা করতেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, হিমেল মঙ্গলবার সকালে ফেইসবুকে ‘আলবিদা’ লিখে স্ট্যাটাসে দেওয়ার পর থেকে নিখোঁজ হন। দিন গড়াতেই তিন্নিও নিখোঁজ বলে খবর আসে। তারপর তারা একসঙ্গে পালিয়েছেন বলে শহরে খবর রটে।
হিমেলের বাবা ছোটন দেওয়ানজী বলেন, “তারা প্রেমের কারণেই আত্মহত্যা করেছে বলে মনে হচ্ছে। আমরা কিছু জানতাম না। ভেবেছিলাম কোনো কারণে নিখোঁজ হয়েছে। কিন্তু কেন এটা করল বুঝতে পারছি না।”
তিন্নির আত্মীয় রাঙামাটির নূরুল আলম মিয়াও একই কথা বলেছেন।
“আমরা আসলে কিছুই বুঝতে পারছি না। সে আমার বাসায় থেকে পড়াশুনা করত। কিন্তু কিসের মধ্যে কী হল কিছুই বুঝতে পারছি না।”
পুলিশও এ ঘটনাকে আত্মহত্যা বলে মনে করছে।
ওসি জাহেদুল হক বলেন, “এটি একটি ঘোষণা দিয়েই আত্মহত্যার ঘটনা। প্রেমের কারণেই এটি ঘটেছে বলে আমরা জানতে পেরেছি। দুইজন দুইধর্মের হওয়ায় প্রেমে সফলতার সম্ভাবনা নেই মনে করে তারা আবেগে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে মনে হচ্ছে।”
অভিযোগ না থাকায় এ বিষয়ে থানায় অপমৃত্যু মামলা হবে বলে তিনি জানান।