দুই দিন ধরে এলাকায় এলাকায় মাইকিং, স্কুলে স্কুলে সচেনতামূলক সভা, শোভাযাত্রার আয়োজন করা হচ্ছে কর্মসূচির অংশ হিসেবে।
সাধারণ অনেক মানুষও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সচেতনতামূলক স্ট্যাটাস দিয়ে প্রচারণা চালাচ্ছেন।
তারা কারও প্রতি সন্দেহ হলে স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগিতা নেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছেন।
“গুজব ছড়িয়ে অপরাধী ও সাধারণ মানুষকে গনপিটুনি দিয়ে আহত বা হত্যা পর্যন্ত করা হচ্ছে। আমরা কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নই। তাই বাগেরহাটের যাতে এ ধরনের কোনো অনভিপ্রেত ঘটনা ঘটতে না পারে সে জন্য পুলিশের পক্ষ থেকে জেলার বিভিন্ন এলাকায় মাইকিং করা হচ্ছে। পুলিশ স্কুলে স্কুলে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অবিভাবকদের নিয়ে সচেতনতামূলক সভা করছে। কোথাও কাউকে সন্দেহ হলে তাদের না মেরে তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশের হাতে তুলে দিতে আহ্বান জানানো হচ্ছে। ফেইসবুকে যাতে কেউ গুজব ছড়িয়ে নিরীহ সাধারণ মানুষকে বিপদে ফেলতে না পারে সে জন্য আমাদের একাধিক গোয়েন্দা দল সার্বক্ষণিক কাজ করছে।”
মাইকিং করছে উপজেলা পরিষদও।
সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সরদার নাসির উদ্দীন বলেন, সদর উপজেলার দশ ইউনিয়নে ছেলেধরা গুজব ছড়িয়ে যাতে সাধারণ মানুষদের কেউ গনপিটুনি না দিতে পারে তা দূর করতে এটা করা হচ্ছে।
“এছাড়া মাধ্যমিক ও প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোয় শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও অবিভাবকদের নিয়ে সচেতনতামূলক সভা করা হচ্ছে।”
সচেতন নাগরিক কমিটি সনাকের জেলা সভাপতি অধ্যাপক চৌধুরী আব্দুর রব বলেন, “গুজব আতংঙ্ক ছড়িয়ে জনমনে ভীতি ছড়ানো হচ্ছে। যার শিকার হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। তাই গুজবে কান না দিয়ে সবাইকে সচেতন হতে হবে।”
এলাকায় কোনো অপরিচিত মানুষকে দেখলে পুলিশকে খবর দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদ বলেন, “গুজব আতঙ্ক সাধারণ মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে তাদের ভীতির মধ্যে ফেলে দিচ্ছে অপরাধীরা। এসব গুজবে কান দিয়ে যাতে সাধারণ মানুষ অপরাধে জড়িয়ে না পড়ে সেজন্য জেলার নয় উপজেলায় নানা কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে। উপজেলায় উপজেলায় মাইকিং করা হচ্ছে।”
এলাকায় কোনো অপরিচিতজন দেখলে তাদের মারধর না করে স্থানীয় প্রশাসনের হাতে তুলে দেওয়ার আহ্বান জানান জেলা প্রশাসক।