দলের তত্ত্বাবধায়ক বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক বিশ্বপ্রিয় চক্রবর্তী বলেন, তারা ২১ জুন নাসার আমন্ত্রণপত্র পেয়েছেন।
“গত ১ জুলাই ভিসার জন্য আবেদন করি। ১১ জুলাই ভিসার জন্য সাক্ষাতে গেলে আমেরিকান দূতাবাস থেকে আমাদের আবেদন প্রত্যাখ্যান করে দেওয়া হয়। তারা কোনো কারণ বলেনি।”
অধ্যাপক চক্রবর্তী বলেন, নাসার তথ্য ব্যবহার করে ‘লুনার ভিআর’ তৈরি করে বেস্ট ডেটা ইউটিলাইজেশন ক্যাটাগরিতে এ প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয় অলিক। চলতি বছরের ১৬ ফেব্রুয়ারি তাদের নাম ঘোষণা করে নাসা।
“২১ থেকে ২৩ জুলাই প্রতিযোগিতার সমাপনী পর্বে অংশ নেওয়ার জন্য ফ্লোরিডার নাসা কেনেডি স্পেস সেন্টারে উপস্থিত থাকার আমন্ত্রণ পেয়েছিল টিম অলিক। সেই অনুষ্ঠানে অংশ নিতে তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় তাদের ছয় কর্মকর্তা, বেসিসের আরও পাঁচজনসহ মোট ১৬ জনের একটি তালিকা করে। ইতোমধ্যে তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাসহ আট সদস্যের প্রতিনিধি দল যুক্তরাষ্ট্রে পোঁছে গেলেও ভিসা না পাওয়ায় অলিকের পাঁচ সদস্যের কেউ অংশ নিতে পারেননি।”
টিম অলিকের সদস্য ভূগোল ও পরিবেশবিদ্যা বিভাগের ২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষের কাজী মাইনুল ইসলাম বলেন, “স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জ প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হওয়াটা অবশ্যই বাংলাদেশের জন্য গর্বের ছিল। কিন্তু নাসা থেকে আমন্ত্রণ পাওয়া সত্ত্বেও মার্কিন দূতাবাস ভিসার অনুমোদন না দেওয়ায় আমরা নাসায় যেতে পারলাম না।”
অলিকের সদস্যরা হলেন পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী এসএম রাফি আদনান, ভূগোল ও পরিবেশবিদ্যা বিভাগের ২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী আবু সাবিক মেহেদী ও একই বিভাগের ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের সাব্বির হাসান।
অধ্যাপক চক্রবর্তী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “এর আগে কোনো বাংলাদেশি দল নাসার কোনো প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়নি। যদি ভিসার কারণে এত বড় আয়োজনে অংশ নিতে না পারি, তাহলে তরুণ শিক্ষার্থীরা ভবিষ্যতে এসব প্রতিযোগিতায় আগ্রহ হারাবে।”