মঙ্গলবার ভোরে সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের চাঁদপাই রেঞ্জের জোংড়ার খাল এলাকায় গোলাগুলির ওই ঘটনা ঘটে বলে র্যাব-৮ এর উপ অধিনায়ক মেজর সজীবুল ইসলামের ভাষ্য।
তিনি বলেন, নিহতদের একজন ওই এলাকার বনদস্যু দল ‘খালেক বাহিনীর’ শীর্ষ নেতা খালেক (৪৮), অন্যজন তার সহযোগী।
নিহত দ্বিতীয়জনের নাম-পরিচয় তাৎক্ষণিকভাবে জানাতে পারেননি র্যাব কর্মকর্তারা
মেজর সজীব বলেন, র্যাবের একটি দল নিয়মিত টহলের অংশ হিসেবে সোমবার রাত সাড়ে ৩টার দিকে জোংড়ার খাল এলাকায় যায়।
“এ সময় সেখানে অবস্থানরত বনদস্যুরা র্যাবের দিকে গুলিবর্ষণ করে। র্যাব সদস্যরাও তখন পাল্টা গুলি চালায়। সকাল ৭টা পর্যন্ত থেমে থেমে দুই পক্ষের মধ্যে গোলাগুলি হয়।
“এক পর্যায়ে বনদস্যুরা বনের গহীনে চলে গেলে র্যাব সদস্যরা জোংড়ার খাল এলাকায় তল্লাশি চালিয়ে দুজনের গুলিবিদ্ধ লাশ পায়।”
পরে দিনের আলো ফুটলে নদীতে থাকা জেলেরা এসে নিহত দুজনকে ‘খালেক বাহিনীর সদস্য’ হিসেবে শনাক্ত করেন বলে মেজর সজীবের ভাষ্য।
তিনি বলেন, ঘটনাস্থল থেকে র্যাব সদস্যরা ‘কিছু’ আগ্নেয়াস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করেছেন। নিহতদের মরদেহ খুলনার দাকোপ থানায় পাঠানো হয়েছে।
র্যাব কর্তকর্তারা বলছেন, নিহত দুজনের মধ্যে খালেক কয়েকজন সহযোগীকে নিয়ে গতবছর ওই দল গড়েন। তার ওই দস্যুদল খালেক বাহিনী হিসেবে এলাকায় পরিচিতি পায়।
মেজর সজীব বলেন, “সাগর ও সুন্দরবনের ওপর নির্ভরশীল জেলে, বাওয়ালী ও মৌয়ালদের কাছ থেকে চাঁদাবাজি, অপরহরণের পর মুক্তিপণ আদায়সহ নানা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড চালিয়ে আসছিল এই খালেক বাহিনী।”