ধর্ষণের অভিযোগ খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রের একাডেমিক কার্যক্রম স্থগিত

বাইরের এক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্রীকে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে এনে ধর্ষণের অভিযোগে চারুকলা স্কুলের প্রিন্ট মেকিং ডিসিপ্লিনের এক ছাত্রের একাডেমিক কার্যক্রম স্থগিত করেছে কর্তৃপক্ষ।

খুলনা প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 22 July 2019, 06:20 PM
Updated : 22 July 2019, 06:20 PM

বিষয়টি তদন্ত করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌন নিপীড়ন বিরোধী কমিটিকে তদন্তের জন্য দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

কমিটি রিপোর্ট দিলে এবং ধর্ষণের সত্যতা প্রমাণিত হলে ওই ছাত্রের বিরুদ্ধে আরও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষ।

পাপ্পু কুমার মন্ডল নামের ওই যুবক খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা স্কুলের প্রিন্ট মেকিং ডিসিপ্লিনের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র।

এ ঘটনার পর ওই শিক্ষার্থীর গলায় জুতার মালা পরিয়ে মুখে কালি লাগিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বের করে দের অন্য শিক্ষার্থীরা।

গত ৩ জুলাই ক্যাম্পাসে এ ঘটনা ঘটলেও বিষয়টি জানাজানি হয় সোমবার।

অভিযেগে বলা হয়, গত ৩ জুলাই খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদে চিত্রকলা প্রদর্শনী ছিল। পাপ্পু ওইদিন তার পরিচিত এক ছাত্রীকে প্রদর্শনী দেখানোর কথা বলে ক্যাম্পাসে ডেকে আনেন। সেই ছাত্রী খুলনা কলেজিয়েট গার্লস স্কুলে লেখাপড়া করেন।

ওই ছাত্রী চারুকলায় যাওয়ার পর পাপ্পু তাকে খাবারের সঙ্গে ঘুমের ট্যাবলেট খাইয়ে চারুকলার লাইব্রেরি ভবনের নিচতলায় কোথাও নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করেন। এরপর পাপ্পু নিজের কক্ষে চলে যান।

ওই ছাত্রী ঘুমের ঘোর কাটলে কান্নাকাটি করতে করতে অদম্য বাংলার সামনে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে খানজাহান আলী হলের কয়েকজন ছাত্র তাকে এখানে দাঁড়িয়ে থাকার কারণ জিজ্ঞেস করলে বিষয়টি জানাজানি হয় এবং ওই ছাত্ররা তাকে একটি হলের গেস্ট রুমে থাকার ব্যবস্থা গ্রহণ করেন।

এ ব্যাপারে খুবির ছাত্র বিষয়ক পরিচালক অধ্যাপক শরীফ হাসান লিমন বলেন, ৩ জুলাই রাতে ঘটনার পর ৪ জুলাই মেয়েটি লিখিত অভিযোগ করেছে। ৫ ও ৬ জুলাই ছুটি থাকায় ৭ জুলাই মেয়েটির অভিযোগটি বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌন নিপীড়নবিরোধী কমিটির কাছে দেওয়া হয়। প্রাথমিক অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে পাপ্পুর একাডেমিক কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে। এছাড়া তিনি মেয়েটিকে মামলা করার পরামর্শ দিয়ে সহায়তার আশ্বাসও দেওয়া হয় বলে তিনি জানান। 

বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌন নিপীড়ন বিরোধী কমিটির প্রধান অধ্যাপক  মোসাম্মাৎ হোসনে আরা বলেন, অভিযোগ পাওয়ার পর তারা তদন্ত শুরু করেন। তদন্ত প্রায় শেষ পর্যায়ে। তদন্তে অভিযোগ প্রমাণিত হলে পাপ্পুকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হবে।