গত কয়েকদিনে লৌহজং উপজেলার কুমারভোগ ইউনিয়নের খড়িয়া গ্রাম ও লৌহজং-তেউটিয়া ইউনিয়নের চরাঞ্চলের অনেক পরিবারের ভিটেমাটি পদ্মাগর্ভে বিলীন হয়েছে। ভাঙন তীরবর্তী এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ছে।
সরেজমিনে ভাঙন এলাকা ঘুরে লোকজনকে বাড়িঘর ভেঙে সরিয়ে নিতে দেখা গেছে।
“নদী ভাঙনের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ৬টি ঘর ভেঙে নিতে আমাদের অনেক কষ্ট হচ্ছে।”
জাকির হোসেনের প্রতিবেশী জিন্নত আলী, সুজন শেখ ও রিমা আক্তারও একই রকমের হতাশা ব্যক্ত করেন।
একই গ্রামের বাসিন্দা অবসরপ্রাপ্ত সেনাসদস্য রফিজউদ্দিন বলেন, নদীর পাড়ে মাসের পর মাস ভারী জাহাজ ও ট্রলার ভিড়ানোর কারণে ভাঙনের মাত্রা বেশি হয়েছে।
তিনি জানান, গত শতকের নব্বই দশকে টানা ১০ বছর পদ্মার ভাঙনে তেউটিয়া ও ধাইদা ইউনিয়ন দুটির অধিকাংশ এলাকা নদীগর্ভে বিলীন হয়। এরপর দুই দশক ভাঙন বন্ধ থাকে। ৫/৬ বছর আগে খড়িয়া থেকে আধা কিলোমিটার দূরত্বে বালু ফেলে শিমুলিয়াঘাট তৈরি করা হয়। ফলে পদ্মার এই শাখা নদীটির বাঁক পরিবর্তন হওয়ায় স্রোত এসে খড়িয়া গ্রামে সরাসরি আঘাত করে। তাই প্রতি বছর বর্ষাকালে নদীতে লৌহজংয়ের কোথাও না ভাঙলেও খড়িয়া ভেঙেই চলেছে বলে তিনি জানান।
স্থানীয়দের অভিমত, খড়িয়া গ্রাম থেকে এক কিলোমিটার দূরত্বে পদ্মা সেতুর নদী শাসনের কাজ চলছে। সেতুর হাজার কোটি টাকা ব্যয়ের সঙ্গে সামান্য কিছু খরচ করে নদী শাসনের কাজ করলে এ এলাকা ভাঙন থেকে রক্ষা পেত। বেঁচে যেত বাপদাদার ভিটেবাড়িসহ হাজারো এলাকাবাসী।
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সৈয়দ মুরাদ আলী ভাঙন ও বন্যা কবলিত এলাকাসমূহ পরিদর্শন করেছেন।
লৌহজং উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ কাবিরুল ইসলাম খাঁন বলেন, “খড়িয়ার ভাঙন সম্পর্কে আমরা অবগত আছি। এলাকাটি ইতোমধ্যেই পদ্মা সেতুর নদী শাসনের আওতায় রয়েছে। আগামী অর্থবছরে ভাঙন রোধে কাজ শুরু হবে।”