ঘুষ দাবির অভিযোগে রংপুরে এলজিইডির ২ প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে মামলা

সর্বনিম্ন দরপত্র দাতা হয়েও কাজ না পেয়ে উল্টা ঘুষ দাবির অভিযোগে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) রংপুরের দুই নির্বাহী প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে মামলা করেছেন এক ঠিকাদার।

রংপুর প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 21 July 2019, 01:01 PM
Updated : 21 July 2019, 01:01 PM

রংপুরের জেলা ও দায়রা জজ রাশেদা সুলতানার আদালতে রোববার রবিউল আলম বুলবুল মামলাটি দায়ের করেন।

মামলার আসামিরা হলেন- নির্বাহী প্রকৌশলী আখতার হোসেন ও জ্যেষ্ঠ  সহকারী প্রকৌশলী কাওছার আলম।

মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবী রইছ উদ্দিন বাদশা জানান, শুনানি শেষে বিচারক মামলাটি  তদন্ত করতে রংপুর দুর্নীতি দমন কমিশনকে নির্দেশ দিয়েছেন।

এছাড়া আগামী ২ সেপ্টেম্বরের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের আদেশও দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।

মামলার বিবরণে বলা হয়, চলতি বছরের ১৩ ফ্রেরুয়ারি এলজিইডি রংপুরের নির্বাহী প্রকৌশলী আখতার হোসেন স্বাক্ষরিত টেন্ডার নোটিশ দেখেন ঠিকাদার রবিউল আলম বুলবুল। তিনি প্রয়োজনীয় কাগজ ও দশ লাখ টাকার সিকিউরিটি মানিসহ অনলাইনে টেন্ডার দাখিল করেন। যার প্রাক্কলিত মূল্য ছিল চার কোটি ২৬ লাখ টাকা।

সেই টেন্ডারে তিনি সর্বনিম্ন দরদাতা হন। একইভাবে ২০১৯ সালের ৪ মার্চে নির্বাহী প্রকৌশলী স্বাক্ষরিত অনলাইনে আরও একটি টেন্ডার আহ্বান  করা হয়।

সেখানে ছয় লাখ টাকা সিকিউরিটি মানি ও প্রয়োজনীয় কাগজসহ অনলাইনে টেন্ডার দাখিল করেন বুলবুল, যার প্রাক্কলিত মূল্য ছিল দুই কোটি চল্লিশ লাখ টাকা। ওই টেন্ডারেও তিনি সর্বনিম্ন দরদাতা বিবেচিত হন।

দুটি টেন্ডারের বিষয়ে ঠিকাদার রবিউল আলম বুলবুল তার ম্যানেজারকে নির্বাহী প্রকৌশলীর সঙ্গে দেখা করতে পাঠান। তখন তিনি জ্যেষ্ঠ সহকারী প্রকৌশলী কাওছার আলমের সঙ্গে দেখা করতে বলেন। পরে কাওসার আলমের সঙ্গে দেখা করলে তিনি ম্যানেজারকে দুটি টেন্ডারের প্রাক্কলিত মূল্যের শতকরা দুই ভাগ পরিমাণ অর্থ দাবি করেন।

দাবিকৃত অর্থ না পাওয়ায় দাখিল করা টেন্ডার বাতিল করে দেন তারা। এছাড়া কাজের দুই ভাগ অর্থ দুই প্রকৌশলীকে না দেওয়ায় তারা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে মিথ্যা তথ্য দিয়ে বাদীকে কালো তালিকাভুক্ত করান। এতে বুলবুল আর কোনো দরপত্রে অংশ নিতে পারেননি। এতে তিনি আর্থিক ও পেশাগতভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়।

দুদক রংপুরের সহকারী পরিচালক জাহাঙ্গীর আলম জানান, ঘটনাটি দ্রুত তদন্ত করে প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করা হবে।