টেকনাফ থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাশ জানান, রোববার ভোরে উপজেলার হোয়াইক্যং ইউনিয়নের সাতঘরিয়া পাড়া সংলগ্ন শিয়াইল্ল্যা ঘোনার পাহাড়ি এলাকায় গোলাগুলির ওই ঘটনা ঘটে।
নিহত মোহাম্মদ হোছন (৩৯) ওই এলাকার আনু মিয়ার ছেলে।
হোছনকে চিহ্নিত মাদক বিক্রেতা দাবি করে পুলিশ বলছে, সে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তালিকাভুক্ত ইয়াবা বিক্রেতা এবং মাদক ব্যবসায় জড়িত অভিযোগে তার বিরুদ্ধে ছয়টির বেশি মামলা রয়েছে।
ওসি বলেন, হোছন মামলা মাথায় নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে পলাতক ছিল। শনিবার সন্ধ্যায় হোছনের এলাকায় অবস্থানের খবর পেয়ে পুলিশের একটি দল অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে। পরে তাকে নিয়ে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে ইয়াবা উদ্ধারে যায়।
“এ সময় হোছনের সহযোগীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়লে পুলিশও আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি ছোড়ে। এক পর্যায়ে হোছনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়। তাকে উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসকেরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ”
এছাড়া এ ঘটনায় পুলিশের তিন সদস্য আহত এবং ঘটনাস্থল থেকে দুইটি দেশীয় বন্দুক, নয়টি গুলি, ১২টি গুলির খোসা এবং দুই হাজার ইয়াবা উদ্ধার করা হয় বলে জানান ওসি।