গোপালগঞ্জে শতাধিক স্কুল ঝুঁকিপূর্ণ

গোপালগঞ্জে শতাধিক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জরাজীর্ণ ভবনে ঝুঁকির মধ্যে ক্লাসসহ অন্যান্য কার্যক্রম চলছে।

মনোজ সাহা গোপালগঞ্জ প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 20 July 2019, 06:34 AM
Updated : 20 July 2019, 06:34 AM

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আনন্দ কিশোর সাহা জানান, জরাজীর্ণ ও ঝুঁকিপূর্ণ ১২৫টি স্কুলের তালিকা প্রাথমিক ও গণশিক্ষা অধিদপ্তরে পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে অধিকাংশ স্কুল ভবনকে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর পরিত্যক্ত ঘোষণা করেছে।

সদর উপজেলার খাটরা নিচুপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা গেছে, চারটি কক্ষের তিনটিই ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। একটি কক্ষ পরিত্যক্ত অবস্থায় রয়েছে। সেখানে কোনো ক্লাস হচ্ছে না। স্কুল ভবনের ছাদ, ফ্লোর, পিলার, বিম, দেয়ালে অসংখ্য ফাটল দেখা দিয়েছে। ছাদ ও দেয়ালের পলেস্তারা খসে পড়ছে। পিলারের রড বের হয়ে গেছে।

শিক্ষা কর্মকর্তা আনন্দ কিশোর বলেন, ওই ভবনটি ২০১৪ সালে ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষনা করেছে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর। তার পরও বিকল্প ব্যবস্থা না হওয়ায় পাঁচ বছর ধরে এ ভবনেই চলছে পাঠদান।

ওই স্কুলের পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী শ্রেয়শী বলে, “কখন যে স্কুলের ছাদ ভেঙে পড়ে! ভয় লাগে। তার পরও আমরা স্কুলে আসি।”

সুমন, সেতু, সুমন্ত বলে, তাদের ক্লাসরুমের ছাদ ও দেয়ালের পলেস্তারা খসে পড়ে। ক্লাসে বসে থাকতে ভয় লাগে। তাছাড়া স্কুলের খেলার মাঠে পানি। বর্ষায় মৌসুমে মাঠে খেলতে পারে না তারা।

বিশুদ্ধ খাবার পানির অভাব ও ভাল স্যানিটেশনের ব্যবস্থা নেই বলেও তাদের অভিযোগ।

কোটালীপাড়া উপজেলার ফেরধরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এসএম জাকির হোসেন বলেন, তাদের বিদ্যালয়ের দুটি টিনশেড প্রায় ৩০ বছর আগে বানানো হয়েছে। দুটিরই চালের টিন ছিদ্র হয়ে গেছে। বৃষ্টি হলেই ক্লাসরুমে পানি পড়ে। শিক্ষার্থীরা ভিজে যায়।

শিক্ষা কর্মকর্তা আনন্দ কিশোর বলেন, অধিক ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে ৩০টি স্কুল চিহ্নিত করা হয়েছে। আগ্রাধিকার ভিত্তিতে এসব স্কুলে নতুন ভবন নির্মাণের সুপারিশ করা হয়েছে। কিছু স্কুল মেরামত করলেই কাজ চালিয়ে নেওয়া সম্ভব।

তবে সে কাজটা কখন শুরু হবে সে বিষয়ে তিনি কিছু বলতে পারেননি।