কমতে শুরু করেছে যমুনার পানি, সিরাজগঞ্জে এখনও লক্ষাধিক পানিবন্দি

যমুনা নদীর পানি কমতে শুরু করলেও সিরাজগঞ্জে পাঁচ উপজেলার লক্ষাধিক মানুষ এখনও পানিবন্দি হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন।

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 19 July 2019, 08:45 AM
Updated : 19 July 2019, 10:52 AM

সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ড বলছে, গত ২৪ ঘন্টায় যমুনা নদীর পানি ৮ সেন্টিমিটার বেড়ে সিরাজগঞ্জ পয়েন্টে বিপদসীমার ৯৮ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

তবে বৃহস্পতিবার রাত থেকে পানি বৃদ্ধির হার কমে এসেছে বলে জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী শফিকুল ইসলাম জানান।

তিনি বলেন, “ইতোমধ্যে কাজিপুর পয়েন্টে পাঁচ সেন্টিমিটার পানি কমেছে। সিরাজগঞ্জ পয়েন্টে বেড়েছে মাত্র ১ সেন্টিমিটার। বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে শহর রক্ষা বাঁধের হার্ডপয়েন্ট এর একটি স্থানে কয়েকটি পাথর সরে যাওয়ায় ধসের আশংকা করা হয়েছিল। কিন্তু রাতেই সেখানে অতিরিক্ত পাথর বসিয়ে সেটি নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে।”

জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা আব্দুর রহিম বলন, যমুনার পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় যমুনা তীরবর্তী কাজীপুর, সদর, বেলকুচি, চৌহালী ও শাহজাদপুর উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্রতিদিনই প্লাবিত হচ্ছে।

“এ পর্যন্ত এ উপজেলার ৯৩৬টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এসব গ্রামের ২১ হাজার ৫৫২ পরিবারের লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। এ সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে।

বেশি দুর্ভোগে রয়েছেন চরাঞ্চলের মানুষ। এসব এলাকার ফসলি জমি ও হাট-বাজার ইতোমধ্যে তলিয়ে গেছে।”

তিনি বলেন, বন্যার্তদের বিতরণের জন্য ৪৯৪ টন চাল ও ৮ লাখ টাকা মজুদ রয়েছে। ইতোমধ্যেই কাজিপুর ও সিরাজগঞ্জ সদরে ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম শুরু হয়েছে।

সিরাজগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক হাবিবুল হক বলেন,“বন্যার পানিতে জেলার প্রায় ছয় হাজার ৪০০  হেক্টর জমির পাট, রোপা আমন, আউশ ও সবজির ক্ষেতে পানি উঠেছে।”

কাজীপুর উপজেলার নির্বাহী অফিসার জাহিদ হাসান সিদ্দিকী বলেন, “পানি বৃদ্ধির কারণে কাজিপুর-ধুনট আঞ্চলিক সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। বন্যার্তরা বাঁধ ও উচু স্থানে আশ্রয় নিচ্ছে।

“ইতোমধ্যেই বেশ কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পানি প্রবেশ করায় সেগুলো বন্ধ রয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের তালিকা প্রণয়ন করা হচ্ছে।”