জেলার পুলিশ সুপার মো. মারুফ হোসেন বলেন, “মিন্নি হত্যাকারীদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা এবং হত্যা পরিকল্পনাকারীদের সঙ্গে বৈঠক করেন।”
গত ২৬ জুন জেলা শহরের কলেজ রোডে রিফাতকে (২৩) স্ত্রী মিন্নির সামনে কুপিয়ে জখম করে একদল লোক। হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
রিফাতের বাবা দুলাল শরীফ ১২ জনকে আসামি করে বরগুনা থানায় মামলা করেন। এ ঘটনায় ১৩ জনকে আটকের পর মঙ্গলবার রিফাতের স্ত্রী মিন্নিকে গ্রেপ্তার করে রিমান্ডে নেয় পুলিশ। আর মামলার ১ নম্বর আসামি নয়ন বন্ড পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত হন।
পুলিশ সুপার বৃহস্পতিবার সংবাদ সম্মেলন বলেন, “মিন্নিকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। ইতোমধ্যেই হত্যা পরিকল্পনার সঙ্গে মিন্নির যুক্ত থাকার প্রমাণ পেয়েছে পুলিশ।”
হামলার ঘটনার একটি ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়লে দেশজুড়ে শুরু হয় আলোচনা। সেখানে দেখা যায়, দুই যুবক রামদা হাতে রিফাতকে একের পর এক আঘাত করছে। তার স্ত্রী মিন্নি তাকে বাঁচানোর জন্য হামলাকারীদের ঠেকানোর চেষ্টা করছেন।
বরগুনার সরকারি কলেজের ডিগ্রি প্রথম বর্ষের ছাত্রী মিন্নি হামলাকারী সবাইকে চিনতে না পারার কথা জানালেও নয়ন বন্ড, রিফাত ফরাজী ও তার ভাই রিশান ফরাজীর নাম বলেন।
রিফাতের বাবা দুলাল শরীফ মিন্নিকে গ্রেপ্তার করে জিজ্ঞাসাবাদের দাবি জানান। মিন্নি শ্বশুর দুলাল শরীফের বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
দুলালের দাবি, মামলার ১ নম্বর আসামি নয়ন বন্ডের সঙ্গে মিন্নির বিয়ে হয়েছিল। রিফাতকে হত্যার ঘটনায় মিন্নি জড়িত ছিলেন। আহত রিফাতকে হাসপাতালে নেওয়ার সময় মিন্নি সঙ্গে যাননি।
মিন্নি বলছেন, নয়নের সঙ্গে তার বিয়ে হয়নি। জোর করে কাবিনে সই নেওয়া হয়েছিল।
আরও খবর