যমুনায় পানি বৃদ্ধি অব্যাহত, সিরাজগঞ্জে ৯০০ গ্রাম প্লাবিত

উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও টানা বৃষ্টির ফলে যমুনা নদীর পানি বেড়ে সিরাজগঞ্জের নিম্নাঞ্চলের ৯০০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে; পানি বন্দি হয়ে পড়েছে লক্ষাধিক মানুষ। তলিয়ে গেছে রাস্তাঘাট; ফসলি জমি।

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 18 July 2019, 07:13 AM
Updated : 18 July 2019, 07:17 AM

এদিকে গত ২৪ ঘন্টায় যমুনা নদীর পানি ২৩ সেন্টিমিটার বেড়ে সিরাজগঞ্জ পয়েন্টে বিপদসীমার ৯১ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে বলে জেলার পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী শফিকুল ইসলাম জানান।

জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা আব্দুর রহিম বলেন, যমুনার পানি বেড়ে যাওয়ার কারণে চরাঞ্চলের গ্রামগুলোতে বন্যার পানি ঢুকে পড়েছে।

“এ পর্যন্ত কাজীপুর, সদর, বেলকুচি, এনায়েতপুর ও শাহজাদপুর উপজেলার পাঁচটি উপজেলার ৯৩৬টি গ্রাম প্লাবিত হয়ে ২১ হাজার ৫৫২ পরিবারের লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন।

বন্যা কবলিতদের বিতরণের জন্য ৪৯৪ টন চাল ও আট লাখ টাকা মজুদ রাখা হয়েছে বলে জানান তিনি।

সরেজমিনে দেখা যায়, পানিবন্দি মানুষ গবাদি পশু আর আসবাপত্র নিয়ে বাঁধের উপর আশ্রয় নিয়েছেন। সেখানে ঝুপড়ি ঘর তুলে রাত যাপন করছেন তারা। এছাড়া পানি উঠে পড়ায় সিরাজগঞ্জের কাজিপুর-ধুনট সড়ক দিয়ে যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে; তলিয়ে গেছে অনেক ফসলি জমি। 

সিরাজগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক (ডিডি) হাবিবুল হক বলেন, জেলার প্রায় ৬ হাজার চারশ হেক্টর জমির পাট, রোপা আমন, আউশ ও সবজির ক্ষেতে পানি উঠেছে। তবে এখনো ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনও জানা যায়নি।
সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী শফিকুল ইসলাম বলেন, যমুনা নদীর পানির প্রবল স্রোতে কাজীপুর উপজেলা পরিষদের নির্মিত রিং বাঁধের অন্তত ৬০ মিটার এলাকা ধসে নতুন নতুন এলাকা ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্লাবিত হচ্ছে।
তিনি বলেন, “বাঁধটি পানি উন্নয়ন বোর্ডের নয়। এটি কাজীপুর উপজেলা পরিষদের উদ্যোগে নির্মাণ করা হয়েছিল। এই মুহুর্তে সেটি মেরামত করা সম্ভব না। আমাদের বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ এখন পর্যন্ত ঠিক রয়েছে। কোন সমস্যা নেই।“

কাজীপুর উপজেলার নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) জাহিদ হাসান সিদ্দিকী জানান, পানি কমে গেলে ক্ষতিগ্রস্থ বাধটি মেরামত করা হবে।