কুড়িগ্রামে বন্যাকবলিত এলাকায় বানভাসী মানুষের কাছ থেকে জুলুম করে ক্ষুদ্রঋণের কিস্তি আদায়ের অভিযোগ উঠেছে।
Published : 17 Jul 2019, 08:27 PM
বুধবার দুপুরে শহররক্ষা বেড়িবাঁধে গিয়ে দেখা গেছে, বাঁধের উত্তর দিকে বইছে প্রমত্তা ধরলা নদী। নদীসংলগ্ন বাড়িগুলোয় কোমর পানি। লোকজন বাড়িঘর ছেড়ে বাঁধে আশ্রয় নিয়েছে। সেখানে ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠানের একজন মাঠকর্মী সাপ্তাহিক কিস্তি তুলছেন।
“লোকজন বলছে, টাকা নেই। পরে দিব। কিন্তু সারেরা সে কথা শুনছে না। তারা নাছোড়বান্দা। কিস্তি না নিয়ে যাবে না।”
কৃষক হক সাহেব বলেন, “কিস্তি চাং। মুই কইছং টেকা দিবের পাবার নং। মোক খাঁইয়ো ধার দিবের চায় না। কামাই নাই। মুই এ্যালা টাকা পাং কোটে।”
এলাকার চায়ের দোকানি এলাহী বকস বলেন, “বন্যার কারণে দোকানে বিক্রি নাই। কিন্তু ওরা তো মানুষের সুখ-দুঃখ বোঝে না। টাকা যেখান থেকে পারো আনতে বলে।”
তিনি বলেন, “অফিসের আদেশেই এসেছি। কোনো চাপ দেওয়া হচ্ছে না। আপনারা আমাদের ম্যানেজারের সাথে কথা বলেন। আমি তার নির্দেশে এসেছি।”
ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক হাফিজুর রহমান বলেন, “বন্যার সময় ঋণ কার্যক্রম বন্ধ রাখার জন্য বলা হয়েছে। কিন্তু তারা যদি এমন কাজ করে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”