গাইবান্ধা রেলস্টেশন মাস্টার আবুল কাশেম জানান, জেলার বাদিয়াখালি এলাকায় রেললাইনে পানি ওঠায় বুধবার বেলা সাড়ে ১১টা থেকে ট্রেন চালানো বন্ধ রেখেছেন তারা।
পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে জানিয়ে তিনি বলেন, “পানি ওঠায় স্লিপার, মাটি ও পাথর সরে যাওয়ায় ট্রেন চলাচল ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। এই মুহূর্তে বলা যাচ্ছে না কখন আবার ট্রেন চালু করা যেতে পারে।
“এই লাইন বন্ধ হওয়ায় ঢাকার সঙ্গে গাইবান্ধা, রংপুর, দিনাজপুর ও লালমনিহাটের রেল যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে।”
গাইবান্ধার রেললাইন রক্ষণাবেক্ষণ কর্মী (মেস্ট) মো. মুকবুল হোসেন জানান, বাদিয়াখালি রেলস্টেশন থেকে তীরমোহনী রেলস্টেশন পর্যন্ত ৬ কিলোমিটার রেললাইনের ওপর দিয়ে বন্যার পানি প্রবল বেগে প্রবাহিত হচ্ছে।
“চার থেকে ছয় ইঞ্চি ওপর দিয়ে এই পানি তীব্রবেগে প্রবাহিত হচ্ছে। এর ফলে কিছু কিছু জায়গায় রেল লাইনের নিচের মাটি, পাথর ও স্লিপার ধসে গেছে।”
সরেজমিন দেখা গেছে, জেলা শহরের বিভিন্ন এলাকা বন্যার পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে। জেলা প্রশাসকের বাসভবন, পুলিশ লাইন্স, টেলিফোন এক্সচেঞ্জ, ফুলছড়ি উপজেলা পরিষদ, ফুলছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেকসহ বিভিন্ন অফিস-আদালতে থৈথৈ করছে বন্যার পানি।
গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোখলেছুর রহমান বলেন, বুধবার ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বিপৎসীমার ১৪৩ সেন্টিমিটার এবং ঘাঘট নদীর পানি ৯০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে।