এদিকে যমনা নদীর পানি সিরাজগঞ্জ পয়েন্টে গত ২৪ ঘন্টায় ২০ সেন্টিমিটার বেড়ে ৬৮ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে বলে সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী রঞ্জিত কুমার সরকার জানান।
কাজীপুর উপজেলা যুবলীগের সভাপতি বিপ্লব সরকার বলেন, “মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে কাজীপুর উপজেলায় জেলা পরিষদের বিকল্প রিং বাঁধে ধস শুরু হয়। ধীরে ধীরে ধসের পরিধি বেড়ে বাড়তে থাকে। এ পর্যায়ে বাঁধের অন্তত ৬০ মিটার এলাকা ধসে রাত সাড়ে ১১টার দিকে প্রবল বেগে লোকালয়ে পানি ঢুকতে শুরু করে।”
যমুনার ভাঙ্গন থেকে কাজীপুর উপজেলার মেঘাই, নতুন মেঘাই, পাইকড়তলী, কুনকুনিয়া ও পলাশপুর গ্রামের দেড় হাজার পরিবারকে রক্ষায় রিং বাঁধটি নির্মাণ করা হয়।
রুবেল বলেন, “বাঁধ ভেঙ্গে প্রবল বেগে পানি ঢুকে পড়ার কারণে আশপাশের তিনটি গ্রাম প্লাবিত এবং তিন শতাধিক পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। এছাড়া কাজিপুর-ধুনট সড়কের আধা কিলোমিটার এলাকা ডুবে গেছে। ”
কাজীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাহিদ হাসান সিদ্দিকী জানান, রাতে হঠাৎ করেই বাঁধে ধস দেখা দেওয়ায় পানি ঢুকে পাশের গ্রামগুলো প্লাবিত হয়েছে। রাতেই পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস সদস্যরা পানিবন্দিদের নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেওয়ার কাজ শুরু করে।