মাল্টি পারপাসে কোটি কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ, গ্রেপ্তার ১

কুমিল্লায় মাল্টি পারপাসের নামে আমানত সংগ্রহ করে কোটি কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে এক বক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

কুমিল্লা প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 16 July 2019, 12:59 PM
Updated : 16 July 2019, 12:59 PM

পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) সোমবার শামীম কবিরকে গ্রেপ্তার করেছে।

শামীম ‘ফারইস্ট ইসলামি মাল্টি কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেড’ (এফআইসিএল)-এর চেয়ারম্যান।

সিআইডির সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) শারমিন জাহান গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, শামীম কবিরের বিরুদ্ধে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনসহ বিভিন্ন আইনে ২৮টি মামলা রয়েছে। এছাড়া ৩০০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগও রয়েছে।

তিনি জানান, কুমিল্লায় তিন সহস্রাধিক আমানতকারীর সাড়ে ১৬ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে শামীমের বিরুদ্ধে পৃথক দুটি মামলা হয়েছে। দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) সমন্বিত জেলা কার্যালয়-কুমিল্লার সহকারী পরিচালক আহসানুল কবীর পলাশ বাদী হয়ে এ দুটি মামলা করেন ২০১৫ সালের ৫ অক্টোবর।

কুমিল্লা সদর দক্ষিণ ও চৌদ্দগ্রাম থানায় করা এ দুই মামলায় ফারইস্ট ইসলামী মাল্টি কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেডের (এফআইসিএল) চেয়ারম্যান শামীম কবিরসহ ১২ জনকে আসামি করা হয়েছে বলে এএসপি শারমিন জানান।

মামলার বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার পোটকরা গ্রামের মৃত আলী আক্কাছের ছেলে শামীম কবির ২০০৬ সালের ১ জুন জেলা সমবায় কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে ফারইস্ট ইসলামী মাল্টি কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেড (এফআইসিএল) প্রতিষ্ঠানের নিবন্ধন নেন। এরপর তিনি নিকটাত্মীয়সহ স্থানীয় যুবকদের নিয়ে চৌদ্দগ্রাম উপজেলার মুন্সীরহাট বাজারে কার্যালয় খোলেন। পরে ওই কার্যালয়ের নিবন্ধন ঠিকানা সংশোধন করে চৌদ্দগ্রাম উপজেলা থেকে কুমিল্লা জেলা ও পরে চট্টগ্রাম বিভাগের অনুমোদন নিয়ে বিভিন্ন স্থানে অফিস স্থাপন করেন।

এরপর শামীম কবিরসহ তার নিয়োজিত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এক লাখ টাকায় মাসিক আড়াই হাজার টাকা লভ্যাংশ, চার বছর মেয়াদে দ্বিগুণ ও ছয় বছর মেয়াদে ৩ গুণ টাকা এবং মাসিক ডিপিএসসহ বিভিন্ন লোভনীয় প্রকল্প খুলে আমানতকারীদের কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা সংগ্রহ করেন।

মামলায় অভিযোগ করা হয়, পরবর্তীতে কয়েক মাস লভ্যাংশ দিয়ে ও কিছুদিন অফিস চালিয়ে আমানতকারীদের লভ্যাংশ দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে এবং তাদের নামে বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন প্রকল্প খুলে জায়গা-জমি, প্লট ও ফ্ল্যাট ক্রয় করেছেন বলে জানান।

এভাবে দুই-আড়াই বছর চলার পর এক পর্যায়ে এফআইসিএল কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সকল অফিস তালাবদ্ধ করে গা-ঢাকা দেন।