মঙ্গলবার বিকাশের এজেন্টরা সাতক্ষীরা প্রেস ক্লাবে এসে অভিযোগ করেন, সোমবার সকাল থেকে ফারুক ও তার অফিসের লোকজন অফিস থেকে উধাও। তাদের খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।
বিকাশ এজেন্ট পাটকেলঘাটার সঞ্জয় কুমার সাংবাদিকদের বলেন, “আমরা প্রত্যেকে সদ্য বেকারত্ব ছাড়িয়ে বিকাশের মাধ্যমে স্বাবলম্বী হতে চেয়েছিলাম। প্রত্যেকে ২০ হাজার থেকে শুরু করে চার লক্ষাধিক টাকা প্রতারিত হয়েছে ওমর ফারুকের দ্বারা।”
সদর থানার ওসি মোহা. মোস্তাফিজুর রহমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “পুলিশ ওমর ফারুককে গ্রেপ্তারে তার কাটিয়ার বাড়িতে অভিযান চালিয়েছিল। তার বাবা, মা, স্ত্রী, সন্তান, ভাই কাউকেই পাওয়া যায়নি।”
পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী ওমর ফারুক বিকাশ এজেন্টদের অর্থ হাতিয়ে নিয়ে পালিয়েছেন বলে ধারণা এই পুলিশ কর্মকর্তার।
বিষয়টি নিয়ে বিকাশের হেড অব করপোরেট কমিউনিকেশন্স শামসুদ্দিন হায়দার ডালিম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “এটা একটি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তদন্ত করছে। আমরা সে তদন্তে সব ধরনের সহায়তা দিতে প্রস্তুত।”
এজেন্টদের পাশাপাশি বিকাশের ‘অনেক টাকা’ও ফারুক নিয়ে গেছে বলে জানান শামসুদ্দিন।
বিকাশের পরিবেশক কীভাবে হয়, তা ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, “সাধারণত বড় ব্যবসায়ীকেই পরিবেশক করা হয়ে থাকে।
একটি জেলায় বিকাশের ৩/৪ জন ডিস্ট্রিবিউটর থাকে। ফারুকও তেমনটি ছিল।”
সাতক্ষীরার এজেন্টরা অভিযোগ করেন, সকালে ডিস্ট্রিবিউটর ফারুক তাদের ফোন করে জানিয়েছিলেন, ‘যার যা টাকা দরকার সকাল ১০টার আগেই আমার নম্বরে পাঠাতে হবে, বিষয়টি জরুরি’। এজেন্টরা সে বার্তা পেয়ে টাকা পরিশোধ করেন। তার কিছুক্ষণ পরই জানতে পারেন যে প্রতারিত হয়েছেন তারা।
মামলায় ওমর ফারুকসহ আটজনকে আসামি করা হয়েছে। তার মধ্যে রয়েছেন ফারুকের দুই ভাই আরাফাত ও লিটন, তার তিন ব্যবসায়িক অংশীদার প্রাইম মিডিয়ার মোহাম্মদ রানা, সজল কুমার বিশ্বাস ও আব্দুল্লাহ মামুন। এছাড়া বিকাশের সাতক্ষীরা জেলা ও খুলনা এরিয়া ব্যবস্থাপক মো. জাহিদ ও মো. জামানকেও আসামি করা হয়েছে।