পূর্ববিরোধের প্রতিশোধ নিতে এই প্রতিবেশীরা মেয়েটিকে হত্যা করেছে বলে পুলিশের ভাষ্য।
এ হত্যার ঘটনায় পুলিশ রোববার বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ ও মোংলা থেকে এই তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে।
গ্রেপ্তারদের দুজন হলেন মোরেলগঞ্জের পশ্চিম বহরবুনিয়া গ্রামের মোক্তার মৃধা (৭৫) ও তার স্ত্রী মনোয়ারা বেগম (৬৫)। আরেকজনের নাম (১৩) প্রকাশ করা হলো না।
রোববার সন্ধ্যায় আদালতে হাজির করার পর তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেওয়া হয়েছে।
গত ২ জুলাই বিকালে পশ্চিম বহরবুনিয়া গ্রামের এক দিনমজুরের মেয়ে এবং স্থানীয় ছাপড়াখালী গাজীরঘাট দাখিল মাদ্রাসার ষষ্ঠ শ্রেণির এই ছাত্রীকে (১২) হত্যা করে বিবস্ত্র লাশ ঝুলিয়ে রাখা হয়।
ঘটনার পরদিন নিহত শিশুর মা বাদী হয়ে মোরেলগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।
রোববার বিকালে বাগেরহাটের পুলিশ সুপার পংকজ চন্দ্র রায় নিজ কার্যালয়ে প্রেস ব্রিফিং করেন।
প্রেস ব্রিফিংয়ে পুলিশ সুপার বলেন, গত ২ জুলাই বিকালে বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে প্রতিবেশী মোক্তার মৃধা, তার স্ত্রী মনোয়ারা এবং তাদের আরেক স্বজন এই মাদ্রাসাছাত্রীর বাড়ি আসেন। এরপর তারা মেয়েটিকে শ্বাসরোধে হত্যা করে এবং তার পরনের জামাকাপড় খুলে বিবস্ত্র করে তার সারা শরীরে লিপস্টিক লাগিয়ে ঘরের সঙ্গে ঝুলিয়ে রাখে।
এসপি পঙ্কজ বলেন, পুলিশ তদন্তে নেমে জানতে পারে এই ঘটনার চারদিন আগে প্রতিবেশী মোক্তার এই মাদ্রাসা ছাত্রীর মাকে একা পেয়ে জাপটে ধরেন। তখন ওই নারী মোক্তারের স্ত্রী মনোয়ারার কাছে এর নালিশ দেন।
“এতে ওই দম্পতি মেয়েটির মায়ের উপর প্রতিশোধ নিতে পরিকিল্পিতভাবে তার মেয়েকে হত্যা করে বলে পুলিশের কাছে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬১ ধারার স্বীকার করেছে।”
তারা আদালতে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায়ও জবানবন্দি দেবেন বলেও জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।
হত্যার আগে মেয়েটিকে ধর্ষণ করা হয়েছে কিনা সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসপি পঙ্কজ বলেন, বাগেরহাট সদর হাসপাতালে মেয়েটির ময়নাতদন্ত হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন হাতে না পাওয়া পর্যন্ত এ বিষয়ে কিছু বলা যাবে না।